উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো হল জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One)। অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়ের অনবদ্য সঞ্চালনা এই অনুষ্ঠানে এনে দিয়েছে এক আলাদা মাত্রা। জনপ্রিয় এই খেলার অংশগ্রহণ করেন সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। জীবনে চরম কঠিনতম পরিস্থিতি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই আর জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হন তাঁরা।
প্রতিযোগিতদের বাস্তব জীবনের লড়াই করার ঘটনা অনুপ্রাণিত করে অসংখ্য দর্শকদের। একথা ইতিমধ্যেই এই শোতে এসেই স্বিকার করে নিয়েছেন একাধিক প্রতিযোগিরা। তাদের দুঃখ, কষ্ট, সহ জীবনের না পাওয়া গুলোকে ভুলে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় মনোবলকে দিদি নাম্বার ওয়ানের মাধ্যমেই কুর্নিশ জানায় জি বাংলা। হাসি, মজা আর প্রচুর উপহারের ডালি নিয়ে দিনে দিনে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে এই শো।
সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানে নিজের বাস্তব জীবনের কঠিন লড়াইয়ের গল্প শোনাতে এসেছিলেন কলকাতার বাসন্তী দেবী কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট মহিলা অধ্যাপিকা শ্যামলী রায়। একসময় পড়াশোনার খরচ জোগাতে লোকের বাড়িতে কাজও করেছেন তিনি। এরপর একদিন বিয়ে করার কথা মনে হওয়ায় খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখেই নিজেই নিজের সম্বন্ধ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন পাত্রের বাড়ি।
জীবনে যখনই নিজের পাশে কাউকে পাননি তখনই নিজেই নিজের হাত ধরেছেন শক্ত করে। এগিয়ে গিয়েছেন নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। বিয়ের সময় শর্ত রেখেছিলেন তাঁর মাকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিতে হবে এবং তাঁকে পড়াশোনা করার সুযোগ দিতে। কিন্তু কিছু মানুষ সময়ের সাথে সাথে কথা রাখার দায়টাও ঝাড় ফেলেন। তেমনটাই হয়েছিল লড়াকু শ্যামলীর সাথেও।
এখানেই শেষ নয় ভাগ্যের এমনই পরিহাস বিয়ের তাঁর যে সন্তান হয় কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর কিডনির অসুখ হয়। সেই অসুস্থ বাচ্চাকে সুস্থ করা থেকে তাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া এসবের মধ্যে নিজেই নিজেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে রবীন্দ্র ভারতী থেকে ২০১৩ সালে এম.এ পাশ করেন তিনি। এরপর নেট পাশ করে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ২০১৭ সালে বাসন্তী দেবী কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে যোগ দেন তিনি।