বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম অঙ্গ হল সিরিয়াল। তাই সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই সমস্ত কাজ সেরে হাতে টিভির রিমোট নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে বসে পড়েন টিভির সামনে। দিনে দিনে দর্শকদের পছন্দের এমনই একটি মেগা সিরিয়াল হয়ে উঠেছে স্টার জলসার ধূলোকণা (Dhulokona)।মাত্র অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এই ধারাবাহিক দর্শকমনে বেশ পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে।
সিরিয়ালের নায়কের নাম লালন আজ পর্যন্ত কোনো চাকরিতেই মন বসেনি তাঁর। সে স্বপ্ন দেখে গায়ক হওয়ার। তবে বাড়ির লোকের কথা ভেবেই গান গাওয়ার পাশাপাশি একটা বাড়িতে ড্রাইভারির কাজে যোগ দিয়েছে সে। সেই বাড়িতেই কাজ করে গল্পের নায়িকা অর্থাৎ ফুলঝুড়ি। এতদিন টিভির পর্দায় নতুন ড্রাইভার লালনের সাথে ফুলঝুরির আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক দেখে আসছিল সবাই।
কিন্তু এখন ধীরে নতুন মোড় নিচ্ছে তাঁদের সম্পর্ক। কিছু দিনের মধ্যেই সিরিয়ালে আসতে চলেছে নতুন চমক। মালিকের বাড়ির মেয়ে চড়ুইয়ের দৌলতে কলেজ ফাংশনে গান গাওয়ার সুযোগ পায় লালন। অনুষ্ঠান শেষে চড়ুই সেদিন বন্ধুদের পার্টিতে নিয়ে যায় লালনকে। সেখানে প্রচন্ড ড্রিঙ্ক করে মাতলামি করতে করতে লালনকে প্রপোজ করে সে। মাঝরাতে বাড়ি এসেও সকলের সামনে অসভ্যতা শুরু করে চড়ুই।
আর চড়ুইয়ের ওই অবস্থার জন্য লালনকেই দোষ দেয় চড়ুইয়ের মা। সবার মতোই লালন কে ভুল বোঝে ফুলঝুড়িও। লালনের এমন আচরণ দেখে সে বাড়িতেও জানিয়ে দেয় ওই বুড়ো লোকটাকেই সে বিয়ে করে নেবে। তা সে লালনকেই এড়িয়ে চলতে শুরু করে। কিন্তু লালন ফুলঝুড়িকে বলে যাই হয়ে যাক বুড়ো লোকটাকে সে বিয়ে করতে পারবে না।
View this post on Instagram
এসবের মধ্যেই সামনে এসেছে নতুন প্রমো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাড়া ভর্তি লোকের মধ্যেই লালনকে গ্রেফতার করতে এসেছে পুলিশ। তাই দেখে ফুলঝুড়ি কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের পায়ে লুটিয়ে পড়ে। আর বলতে থাকে লালন নির্দোষ। লালনের সাথে তাঁর বিয়ের ঠিক হয়েছে। লালনকে বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে মিথ্যে কথা বলে ফুলঝুরি।