সিরিয়াল মানেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। আজকের দিনে সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল স্টার জলসার ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর লেখা এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকমহলে আলোচনার শেষ নেই। এমিনতেই এখনকার দিনে যে কোনো সিরিয়ালের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলে টিআরপি।
আর টিআরপির চক্করে কত কাণ্ডই না ঘটে যায় বাংলা সিরিয়াল গুলোতে। টিআরপি তালিকায় এগিয়ে থাকতে মাঝেমধ্যেই গল্পের গরু গাছে ওঠে। ব্যতিক্রম নয় এই ধূলোকণা সিরিয়ালও। কিছুদিন আগেই সিরিয়ালের নায়ক লালনকে দেখা গিয়েছিল স্মৃতিশক্তি হারিয়ে তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসে তিতিরের সিঁথিতে সিঁদুর পরাতে।
যা নিয়ে কম খিল্লি হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও লিপস্টিক বিয়ে দেখিয়ে ফলও পাওয়া গিয়েছে হাতেনাতে। এক ঝটকায় টিআরপি তালিকায় সেরার সেরা হয়েছে সিরিয়াল। এই সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শক যারা তারা সকলেই জানেন ইতিমধ্যে ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে প্রথমে তিতিরকে খলনায়িকা মনে হলেও এখন জানা যাচ্ছে সে খুবই ভালো মেয়ে।
লালনের সাথে লিপস্টিক বিয়েটা পিছনে তার ছিল অন্য উদ্দেশ্য। বিয়েটা আসলে সে করেছিল লালনের স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনতেই। শুধু তাই নয় প্রথমদিকে সবাই ভেবেছিল তিতির ফুলঝুড়িকে দিয়ে ডিভোর্স পেপার সই করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয় লালনের স্মৃতিশক্তি ফেরানোর জন্যই তাকে আরও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়েছিল।
এই ব্যাপারে যে ফুলঝুরি সম্মতি রয়েছে তারই কন্টাক্ট পেপার ছিল সেটা। তাই হঠাৎ করেই খলনায়িকা থেকে ভালো মেয়ে হয়ে উঠেছে তিতির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া এসেছে সিরিয়ালের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লালন ফুলঝুড়িকে ফোন করে বলছে তার তিতিরের বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে সেখানে অনেক আলো, বাতাস আছে।
আর একটা সময় সে ওই বাড়িতে থেকেছে তাই ওখানে এখন তার থাকতে বেশ লাগছে।কিন্তু ফুলঝুরি তাকে সাফ জানিয়ে দেয় ওই বাড়িতে থাকতে ভালো লাগলেও এটা মাথায় রাখতে হবে ওই বাড়িটা তার নিজের বাড়ি নয়। আর তার নিজের বাড়িতে এত আলো বাতাস কোন কিছুই নেই। তাই এখন তার যেটুকু সামর্থ্য সেটুকু নিয়েই তার সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
কথা শুনে লালনের মনে হয় ফুলঝুরি তাকে জ্ঞান দিচ্ছে। এই ভিডিও দেখেই কমেন্ট সেকশনে ব্যাপক ট্রোলিং করেছেন নেটিজেনরা। কেউ লিখেছেন ‘লালনের আরও বৌ দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। সবে ৩ টে হলো’। কেউ লিখেছেন ‘অনুজ max প্রো’ !