ইদানিং সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে লীনা গাঙ্গুলীর (Leena Ganguly) লেখা জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকমহলে আলোচনার শেষ নেই। এমনিতেই এখনকার দিনে যে কোনো সিরিয়ালের ক্ষেত্রে টিআরপিই শেষ কথা।
বেশি টিআরপি পাওয়ার আশায় এখনকার সিরিয়ালে আজগুবি গল্প দেখানো একপ্রকার জলভাতে পরিণত হয়েছে। যার ফলে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় মিমের বন্যা। এই যেমনটা ইদানিং চলছে, ধূলোকণা সিরিয়ালে। স্মৃতিশক্তি ফিরে আসার পরেও লালন (Lalon) নাকি এখনো মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নয়। তাই ফুলঝুরি (Phuljhuri) নয় এখন সে শুধু থাকতে চায় তিতিরের (Titir) কাছেই। ফুলঝুরি কোন গুণই আর চোখে পড়ছে না তার।
তাই এখন থেকে তিতিরের জন্যই এক প্রকার পাগল হয়ে উঠেছে সে। তাই ফুলঝুরিও তাদের সম্পর্কের বাঁধন থেকে মুক্তি পুরোপুরি দিতে চায় লালনকে। ইতিমধ্যেই লালনকে ডিভোর্স এসেছে ফুলঝুরি। সে চায় লালন যেন তিতিরের সাথে সুখে শান্তিতে নিজের গোটা জীবনটা কাটাতে পারে। এরই মধ্যে সম্প্রতি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করা হয়েছে এই সিরিয়ালের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপিং।
এই ভিডিও-র ক্যাপশনে লেখা রয়েছে ‘তিতিরের সাথে লালনের বিয়ে দিয়ে,তাদের নিজের কাছে রাখতে চায় তিতিরের মা। কি করবে লালন’? এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ট্রোলিং। আসলে ফুলঝুরি লালনকে ডিভোর্স দেওয়ায় তিতিরের মা উল্টে ফুলঝুরিকে দোষ দিয়ে বলছে ফুলঝুরি আসলে লালন কে নিজের ঘাড় থেকে নামাতে চায় তাই এমনটা করেছে।
কিন্তু তিতিরের বাবা ফুলঝুরির কষ্টটা বুঝেছেন। তাই তিনি ফুলঝুরির পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন ‘আজ যেটা ফুলঝুরির সাথে হচ্ছে সেটা কাল যে তিতিরের সাথেও যে হবে না সেটা কে বলতে পারে’? এ কথা শুনে তিতিরের মা বলে ওঠে ‘ আমার মেয়ের সাথে এমনটা কখনোই হবে না। কারণ ‘তিতির গোগোলকে যতোটা ভালোবাসে আর গোগোল তিতিরকে যতটা ভালোবাসে ততটা কেউ কাউকে বাসে না’।
এর পরেই দেখা যায় তিতিরের মা তার মৃত ছেলের প্রসঙ্গ তুলে লালনের সাথে তার তুলনা করে বলে ‘আমি লালন কে আমি আমার ছেলের জায়গা দিয়েছি। ওর মধ্যে আমি আমার গোগোল-এর ছায়া দেখতে পাই। এই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা তীব্র নিন্দা করেছেন তিতিরের মায়ের মানসিকতার, কমেন্ট সেকশনে একজন লিখেছেন ;মেয়ের থেকে মাকে দেখে বেশি রাগ হয়, অসভ্য মহিলা। একদিকে বলছে লালনকে নাকি নিজের ছেলে জায়গায় বসিয়েছে আর ওদিকে নিজের মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাইছে। অদ্ভুত মানসিকতা’।