বলিউডে একাধিক সেলেব জুটি রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে কিছুজন খুব স্পেশাল। ধর্মেন্দ্র ও হেমা মাহিলীর (Dharmendra-Hema Malini) জুটি হল এমন একটি জুটি যা রুপোলি পর্দা থেকে শুরু করে বাস্তবেও একেবারে সুপারহিট। আজকালকার আধুনিক ঠুনকো সম্পর্কের যুগে যেখানে কথায় কথায় ডিভোর্স হয়। সেখানে দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে একসাথে স্বামী স্ত্রী হিসাবে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী।
ধর্মেন্দ্র ও হেমার প্রেম থেকে বিয়ে যেন আস্ত একটা সিনেমা।কারণ সেলেব্রিটি মানেই যে তাদের বিয়েটা সহজ ছিল তা কিন্তু একেবারেই নয়। দুজনের পরিবারের তরফে অনেক বাধা বিপত্তি এসেছিল। বলতে গেলে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই একেঅপরের জীবনসঙ্গী হয়েছেন দুজনে। নিজেদের জীবনের কথা হেমা মালিনীই জানিয়েছিলেন একসময় এক সাক্ষাৎকারে।
সালটা ১৯৯৯, সিমি গেরেওয়ালের একটি টক শোতে এসে নিজের বিয়ের সম্পর্কে কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, বিয়ের আগে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মেন্দ্রের কাজ করেছি। তবে ওনাকে বিয়ে করব ভাবিনি, ভেবেছিলাম ওনার মতনই কাউকে বিয়ে করব। তবে সেই ধারণে শেষমেশ বাস্তবায়িত হয়ে যায়, ধর্মেন্দ্রকেই বিয়ে করি। তবে সেটা সম্পূর্ণ ভাগ্যের খেলা যেটা কারোর হাতে নেই।
এরপর অভিনেত্রীকে তাদের বিয়ের পর বিটাউনে তৈরী হওয়া নানা জল্পনা ও বিতর্কের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তাছাড়া বয়সে বড় একজন অভিনেতার সাথে বিয়ে করেছিলেন হেমা মালিনী। অভিনেত্রীর সাথে বিয়ের পূর্বেই বিবাহিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র, পরিবারের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? এই প্রশ্নও করা হয়েছিল। যার উত্তরে হেমা বলেন, আসলে দীর্ঘ দিন ধরে একসাথে থেকে কাজ করার পর অন্য কাউকে আর মনে ধরেনি। একটা সময় নিজেই ফোন করে ধর্মেন্দ্রকে জানাই যে আমায় বিয়ে করতে হবে।
এরপরেই দুজনে বিয়ে করে নেন। কিন্তু বিয়ে নিয়েও রয়েছে এক ইতিহাস! হেমা মালিনীর বিয়ে প্রথমে ধর্মেন্দ্রর সাথে নয় বরং জিতেন্দ্রর সাথে হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু সেই বিয়ে ধর্মেন্দ্র ভেঙে দেন। হেমা মালিনীর বিয়ের দিন মদ খেয়ে এসে জিতেন্দ্রর সাথে বিয়ে ভেঙে দেন ধর্মেন্দ্র। এরপর ২রা মে ১৯৮০ সালে বিয়ে সারেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৪১ বছর। আজও সুখী দাম্পত্য উপভোগ করছেন এই সেলেব জুটি।