বলিউডের হিরো তথা চকলেট বয় হিরোর কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan)। ‘প্যার কা পাঞ্চ নামা’ ছবিতে কার্তিকের কিছু ডায়লগ দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। সেই যে শুরু তারপর থেকে একাধিক ছবিতে একই ধরনের অভিনয় করে বারবার মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। সুপার হিট ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে দর্শকদের কাছে বিশেষত মহিলা দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। এরপর ‘সোনু কি টিটু কি সুইটি’, পতি পত্নী ওর ওহ’ এরকম একাধিক ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন কার্তিক আরিয়ান। তাই বলিউডের অভিনেতাদের ফিরে কার্তিক আরিয়ান এখন বেশ জনপ্রিয়।
এ বছরের শুরুর দিকেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আছে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা কে। যার কারণ ছিল মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই একটি গোটা ছবির শুটিং কমপ্লিট করে ফেলেছিলেন কার্তিক আরিয়ান। ছবির নাম ‘ধামাকা’। এটা সত্যিই প্রশংসার বিষয় কারণ এমন স্পিডে বলিউডের ছবির শুটিং করতে হয়তো অক্ষয় কুমার ছাড়া খুব কম অভিনেতারাই পারেন।
কার্তিক আরিয়ানকে আসন্ন ছবি ‘দোস্তানা ২’ কেউ দেখতে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে যেটা জানা যাচ্ছে কার্তিক আরিয়ানকে ‘দোস্তানা ২’ ছবি থেকে বাদ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালক করণ জোহার (Karan Johar) তথা ধর্মা প্রোডাকশন (Dharma Production)। শুধু তাই নয় ছবি থেকে বাদ দেওয়ার সাথে সাথে অভিনেতার সাথে ভবিষ্যতে কোনো কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশন।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, বিগত কিছু দিন ধরে কিছু ভুয়া খবর ছড়াচ্ছিল কার্তিক আরিয়ানকে নিয়ে। প্রথমে গুজব রটে যে ধৰ্ম প্রোডাকশনের পরবর্তী ছবির জন্য নাকি ইতিমধ্যেই কার্তিক আরিয়ানকে হিরো হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হিরোইন হিসাবে তৃপ্তি ডিমরিকে ফাইনাল করা হয়েছে। এই খবরটি একেবারেই ভুয়া খবর, যেটা করণ জোহর নিজে টুইট করে জানিয়ে দেন। এরপর আবারো গুজব ওঠে কার্তিকের ছবি ‘ধামাকা’ নিয়ে। বলা হয় ৩০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরী একটি কোরিয়ান ছবির রিমেক বানিয়ে সেটা ১৭৫ কোটি তাকে বেঁচে দেওয়া হয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।
‘দোস্তানা ২’ ছবির জন্য সাইন করেছিলেন কার্তিক যেটা তাকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলছিল। অথচ লোকডাউনের পর থেকে শুটিংয়ের জন্য ডেট পেতে বারবারই ঝামেলা হচ্ছিল। কিন্তু বারবার বৈঠকের পরেও কোনো সমাধান হয়নি। ছবিটির কুড়ি দিনের শুটিং পর্যন্ত করে ফেলেছিলেন কার্তিক ধৰ্ম প্রোডাকশনের সাথে। কিন্তু তারপরেও বারংবার বৈঠকের পরেও অভিনেতার ডেট না পাওয়ার মত কারণে শেষমেষ মাঝপথেই বদলে ফেলা হলো ছবির হিরো কে। যেমনটা জানা যাচ্ছে অভিনেতার অযৌক্তিক আচরণের কারণেই তারা পাঠাচ্ছে না এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে বারবারই অভিনেতার ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিস তরফ থেকে বের সংক্রান্তঃ গোলমাল হচ্ছিল। তাই শেষমেষ এমন একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত 2009 সালে কার্তিক আরিয়ান দোস্তানা ২ ছবিটির অফার পেয়েছিলেন। সেই সময়ে ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই পোষ্টটি কার্তিক বলেছিলেন এই ছবিটি আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ ছবিতে আমার যে চরিত্র সেটা আমার অভিনয় দক্ষতাকে আরো অনেক বেশি দক্ষতার সাথে করতে চ্যালেঞ্জ করবে।