নতুন বছর শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই এসেছে বিচ্ছেদের খবর। দক্ষিণী অভিনেতা ধনুশ (Dhanush) ও ঐশ্বর্য (Aishwarya) নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন কয়েক সপ্তাহ আগেই। ১৮ বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটানোর পর আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনে। যদিও ধনুশ ও ঐশ্বর্য্যের এই বিচ্ছেদ নেটিজেনরা অনেকেই এখনও পর্যন্ত ঠিক মেনে নিতে পারেনি। এমনকি ঐশ্বর্য্যের বাবা সুপারস্টার রজনীকান্ত (Rajnikant) পর্যন্ত বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে হতাশ, মেয়ের সংসার বাঁচাতে কথা বলতে চান ধনুষের সাথে। তবে যেমনটা জানা যাচ্ছে, রজনীকান্তের সাথে কথা বলতে রাজি হননি ধনুষ।
দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে ঐশ্বর্যের দুই পুত্র সন্তান হয়েছে। যার মধ্যে এক ছেলের বয়স বর্তমানে ১৫ বছর। কিন্তু বাবা-মায়েরা যদি বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাহলে কার কাছে থাকবে ছেলে? বাবার কাছে নাকি মায়ের কাছে! এই প্রশ্নটাই যখন ধনুশের ছেলেকে করা হয় তখন তার উত্তর প্রমাণ করে দেয় বয়স ১৫ হলেও মনের দিক থেকে সে যথেষ্ট পরিণত। এমনকি দাদু রাজনীকান্ত নাতির বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন।
সুত্রমতে খবর, পরিবারের এক সদস্য ছেলেকে যখন জিজ্ঞাসা করেন, বাবা-মার বিচ্ছেদের পর কার সঙ্গে থাকতে চাইছে সে? তখন উত্তর আসে বাবা-মাকেও এই একি প্রশ্ন করা হোক তারা যা উত্তর দেবেন আমার উত্তরটাও একই হবে। ছোট্ট ছেলের মুখে এই উত্তর শুনে ধন-ঐশ্বর্য নিজেরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও বর্তমানে আলাদা আলাদা কাজের জন্য হায়দ্রাবাদ এই রয়েছেন ধনুশ ও ঐশ্বর্য। হায়দ্রাবাদি একই হোটেলে ছিলেন দুজনে, তাই পরিবারের লোকেরা বিয়ে বাঁচানোর জন্য এখনো আশাবাদী। বিশেষত ঐশ্বর্যের বাবা অর্থাৎ রজনীকান্ত এই বিয়েটা আবারও মেনে নিক। আগামী দিনে কি হয় তারই অপেক্ষায় রয়েছেন দুই পরিবারের লোক সহ নেটিজেনরা।
ধনুশের বাবা তথা বিখ্যাত তামিল পরিচালক কস্তুরী রাজা ছেলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলে ছিলেন। তার মতে এটা কোন বিচ্ছেদি নয় বরং গার্হস্থ্য কলহ। বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন একপ্রকার উড়িয়ে দিয়ে তার দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জের এই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনে। আলাদা থাকছেন ঠিকই তবে এখনো ডিভোর্স হয়নি ধনুষ ঐশ্বর্যের।
প্রসঙ্গত, ১৭ই জানুয়ারি ধনুষ নিজেই বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। নতুন বছরের ১৫ দিন পেরোতেই বিচ্ছেদের খবরে একপ্রকার চমকে গিয়েছিলেন ভক্তরা। এরপর থেকেই ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে যায়