সাফল্য আসলেও পা সবসময় মাটিতে রাখা উচিত, টলিউড (Tollywood) সুপারস্টার দেব (Dev) সবসময় এই মন্ত্রেই বিশ্বাস করেন। সেই জন্যই তো এত বড় তারকা হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর মধ্যে নেই ছিটেফোঁটা অহংকার। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে তিনি যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন তা সত্যিই অনেক মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। তবে এত সাফল্য পেলেও অতীতের দিনগুলোর কথা কিন্তু ভোলেননি দেব।
‘অগিশপথ’ ছবির হাত ধরে টলিউডে পা রেখেছিলেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন ১৭টি বছর। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক হিট ছবি। শুধুমাত্র অভিনেতা হিসেবেই নন, প্রযোজক হিসেবেও আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছেন তিনি। তবে এখন এত বড় তারকা হলেও ছোটবেলায় কিন্তু মুম্বইয়ের বস্তিতে থাকতেন ‘প্রজাপতি’ অভিনেতা।
অনেকেই হয়তো জানেন, মুম্বইয়ে ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা করতেন দেবের বাবা। আদি বাড়ি ঘাটালে হলেও একসময় মুম্বইয়ের খেরওয়ারির বস্তিতে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই সময়কারই বেশ কিছু স্মৃতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা। অভিনেতা জানান, বস্তিতে থেকেই তাঁর মধ্যে সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়েছিল।
দেবের কথায়, বস্তির মানুষজন প্রচণ্ড উদার মানসিকতার ছিলেন। সবার জন্য সবার বাড়ির দরজা খোলা থাকতো। দেবের পরিবারের ওপর আবার সবার ছিল অগাধ বিশ্বাস। তিনি সবসময় দেখেছেন, বাবা-মাকে অন্যকে সাহায্য করতে। সেই জন্য ভালোমন্দে তাঁদের কাছেই সবাই ছুটে আসতো। অভিনেতার জানান, বাবা-মাকে দেখেই অন্যদের সাহায্য করতে শিখেছেন তিনি।
তবে বস্তিতে থাকার সময় দেবের যেমন একাধিক ভালো স্মৃতি রয়েছে, তেমনই কিছু কষ্টের স্মৃতিও রয়েছে। সাক্ষাৎকারে কথার সূত্র ধরে অভিনেতা জানান, ছোটবেলায় তিনি একবার বলিউড সুপারস্টার সঞ্জয় দত্তের বিএমডব্লিউ গাড়ি হাত দিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। সেই জন্য অভিনেতার গাড়ির চালক তাঁকে ধমক দিয়ে উঠেছিলেন। আজ এত সফল হয়ে যাওয়ার পরেও সেদিনের ঘটনা ভোলেননি দেব।
মা-বাবা একসময় প্রচণ্ড কষ্ট করেছেন। সেই জন্য নিজে সফল হওয়ার পর তাঁদের রাজা রানীর মতো করেই রাখতে চান দেব। আজ নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরে টলিউডের অন্যতম ধনী অভিনেতা তিনি। নিজের বাড়ির গ্যারেজেই সাজানো রয়েছে বিশ্বের একাধিক দামি দামি গাড়ি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অতীতের সেই ঘটনা ভোলেননি টলি সুপারস্টার। আর সেই কারণেই নিজে এত বড় তারকা হয়ে গেলেও মনের মধ্যে এতটুকু অহংকারবোধ আসতে দেন না দেব।