রাজনীতি আর সিনেমা দুটোই বাংলার সাথে জড়িয়ে রয়েছে ওতোপ্রতোভাবে। আর সম্প্রতি এই দুটো বিষয়ই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়ে জোর তরজা শুরু করেছে গোটা বাংলায়। গত বছরের শেষেই বড়দিনের আগে ২৩ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে দেব অধিকারী (Dev Adhikary) এবং মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা প্রজাপতি (Projapoti)।
এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে বাবা ছেলের খুব মিষ্টি একটা সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে সিনেমার পর্দায়। প্রসঙ্গত দেব এবং মিঠুন দুজনেই দুই প্রজন্মের সুপারস্টার। একদিকে বাংলা ছাড়িয়ে মিঠুনের জনপ্রিয়তা আজও সারা দেশে রয়েছে চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে বাংলাজুড়ে দেবের জনপ্রিতা এখন আকাশছোঁয়া। তবেঅভিনেতা হিসাবে দেব মিঠুনের সম্পর্ক যতই সুন্দর হোক না কেন তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মাথাব্যথার শেষ নেই কিছু মানুষের।
বিশেষ করে দেবের সিনেমায় মিঠুন চক্রবর্তী অভিনয় করা নিয়ে খুব একটা খুশি নন তাঁরই দলের কয়েকজন সদস্য। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়কে নিয়ে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। প্রসঙ্গত অন্যান্য সিনেমাগুলি নন্দনে জায়গা পেলেও দেব মিঠুন অভিনীত এই সিনেমাটি জায়গা পায়নি নন্দনে। তা নিয়ে প্রকাশ্যে আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল দেবকে।
দেবের সেই টুইটকে কে ঘিরে ক্রমশর সরগরম হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। দেবের টুইট করার পরেই সবাইকে ছাপিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীকে ঠুকে বলে বসেন ‘মিঠুনের জন্য ছবিটি ডুবেছে’। যদিও মিঠুনের মতো বর্ষীয়ান অভিনেতার এই অপমান চুপ করে হজম করেননি দেব তিনি সপাট জানিয়ে দেন ‘সিনামটা আমার উপর ছেড়ে দিন’।
এরইমধ্যে সম্প্রতি জল্পনা উস্কে দিয়েছে মিঠুনের সাথে দেবের শেয়ার করে একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে অনস্ক্রিন বাবা মিঠুনের হাত ধরে হিড় হিড় করে টেনে আনছে দেব। ক্যাপশনে প্রতিবারের মতো এবারও এমনি লিখে প্রজাপতি ইমোজি দিয়েছেন অভিনেতা। যা নতুন করে উস্কে দিয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত মুক্তির পর থেকে ইতিমধ্যেই রেকর্ড ব্যবসা করেছে প্রজাপতি। দেশ জুড়ে হাউসফুল হয়েছে সিনেমা।