বর্তমানে ছোটপর্দার জনপ্রিয় নতুন মুখ ‘দেশের মাটি (Desher Mati)’ সিরিয়ালের অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। কাটোয়া থেকে কলকাতায় মূলত পড়াশোনা করতেই এসেছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি। সাথে ছিল মডেলিংয়ের স্বপ্ন, আর সেই থেকেই প্রথম অডিশন দেওয়া। এরপর ত্রিনয়নী সিরিয়ালের হাত ধরে পথচলা শুরু করে আজ দেশের মাটিতে নোয়া চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি। সিরিয়ালে অভিনয়ের কারণে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন অভিনেত্রী।
কিন্তু টলিপাড়ায় সুনামের থেকে বেশি দুর্নামই কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী। কারণ তার গায়ের রঙ শ্যামলা। বারংবার বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন এই কৃষ্ণকলি অভিনেত্রী। অভিনয়ে দক্ষতা থাকলেও তাকে শুনতে হয়েছে ‘পেত্নী’, ‘কুতসিৎ’, ‘কাজের লোক’ এর মত শব্দবন্ধ তাও একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত কুরুচিকর আক্রমনের কারণে শেষমেশ পুলিশের দারস্ত হয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর মতে, নেটিজেনদের এটা বুঝতে হবে, আমরা দর্শকদের বিনোদনের স্বার্থে কাজ করি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয় থাকি মানুষের বিনোদনের জন্য। যাতে যারা আমাদের অভিনীত সিরিয়াল বা সিনেমা দেখেন সেই দর্শকদের সাথে আরো ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। কিন্তু এটাকে সেলেব্রিটিদের সহজলভ্যতা ভাবলে ভুল হবে, আর সেটাই হচ্ছে বর্তমানে। সে কারণেই যাকে তাকে যা খুশি বলে যাচ্ছেন তারা, এটা একেবারেই উচিত নয়।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই মন্তব্য করছেন যে ‘দেশের মাটি’ সিরিয়ালে ইচ্ছা করেই নাকি রুকমা রায়ের চরিত্রকে নেগেটিভ ভাবে দেখানো হচ্ছে। চ্যানেলের সাথে মিলেই এই কাজ করছি আমি! অথচ এটা বুঝতেই চাইছেন না যে চ্যানেল আমার কেনা নয় যে আমি যা চাইবো তাই হবে। ধারাবাহিকে যেটা দেখতে পান দর্শকেরা সেটা সম্পূর্ণ কাহিনী অনুযায়ী। আমরা শুধু কাহিনীটাকে নিজেদের চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছি।
দিন দিন মাত্রা ছাড়িয়েছে এই কটূক্তি, এবার এর একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার। তাই প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি। সেই কারণেই পুলিশের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছি। তাদেরকে গোটা বিষয়টা খুলে জানিয়েছি। তারা অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।