২০১৬ সালে ভারত সরকার পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট অবৈধ ও বাতিল বলে ঘোষণা করে। যার বদলে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট বাজারে আসে। এবার আবারো হতে পারে নোটবন্দি ( demonetization ), যার ফলে বাতিল হয়ে যাবে পুরোনো নোট। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে। আরবিআই এর অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার বি মহেশ (B. Mahesh) এর মতে আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যেই বাজার থেকে পুরোনো ১০ টাকা ও ১০০ টাকার নোট তুলে নিতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
আরবিআই এর অ্যাসিস্ট্যান্ট জিএম বি মহেশ জেলা স্তরের মুদ্রা পরিচালনা সংস্থা ও সিকিউরিটি কমিটির সাথে কথা বলে এই নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে ১০ টাকার কয়েন বের হবার ১৫ বছর পরেও অনেক সময় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা ১০ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করেন। শহরাঞ্চলে এই পরিস্থিতি কিছু তা কম হলেও গ্রামের দিকে এই সমস্যা অনেক বেশি। যেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরবিআই নতুন ১০ টাকার কয়েন বের করার পর থেকে এপর্যন্ত সর্বদাই বলে এসেছে যে ১০ টাকার কয়েন গ্রহণযোগ্য। কিন্তু প্রথম থেকেই মানুষ নিজেদের মধ্যে গুজবের পরিবেশ তৈরী করে ফেলেছে যার কারণে এই ১০ টাকার কয়েন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে আরবিআই এর। তাই এবার এই ১০ টাকার কয়েন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে।
নোটবন্দি বা পুরোনো মুদ্রা বাতিল এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালেও নোট বাতিল হয়েছিল। কিন্তু সে সময় গোটা দেশের মানুষকে নানান সমস্যায় পড়তে হয়ে ছিল। ব্যাংকার বাইরে লম্বা লাইন থেকে শুরু করে বহু মানুষকে বিপদে পড়তে হয়েছিল। সম্প্রতি এই নোট বাতিলের আলোচনায় সাধারণ মানুষের মনে আবারো সেই আশংকায় দানা বাঁধছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হবার পর নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট চাপানো হয়। এছাড়াও ২০০ টাকার নোট বের করা হয় নতুন করে। তবে ২০০০ টাকার নোটের গ্রহণযোগ্যতা কম হওয়ায় আরবিআই বেশি করে ৫০০ এর নোট চাপাতে থাকে। সেই সাথে ২০১৯ সালে ল্যাভেন্ডার কালারের ১০০ টাকার নোট ও সবুজাভ হলুদ কালারের ২০ টাকার নোট বাজারে আসে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো দু ধরণেরই ১০০ টাকার নোট প্রচলিত আছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুরোনো ১০০ ও ১০ টাকার নোট বাতিল করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।