শীত চলে গিয়ে বাংলায় বসন্ত এসেছে। গতকালকেই ছিল দোল। আর দোল মানেই রঙের উৎসব। এদিন বাঙালিরা মাতেন লাল, নীল, সবুজ এবং হলুদ রংবেরঙে। এবার দোলের স্মৃতি শেয়ার করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় (Debashree Roy)। রাজনীতির জন্য দীর্ঘদিন অভিনয় জগত থেকে দূরে ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সম্প্রতি তাকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার ‘সর্বজয়া’ ধারাবাহিকে।
এদিন একটি জজনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে নিজের ছেলেবেলার দোলের স্মৃতি শেয়ার করে আবেগে ভাসলেন দেবশ্রী রায়। দোল নিয়ে তার মনে রয়েছে একাধিক মিশ্র অভিজ্ঞতা। তার কাছে দোল মানেই সকাল বেলা পাড়ার মোড়ে রঙ বারসে গান। পাড়ার হুল্লোড়। কিন্তু দেবশ্রীর বাড়ি থেকে পাড়ার ছেলেদের সাথে রং খেলার অনুমতি কোনোওদিনই ছিলনা৷
কেউ আবীরে সিঁদূর মিশিয়ে পরাবে তার সুযোগ অভিনেত্রী কখনোই কাউকে দেননি। দেবশ্রীর তাই দোল কেটেছে পরিবারের সাথেই৷ তার কথায়, ‘আমার দোল তাই বরাবর পারিবারিক। ভাই-বোনেরা মিলে হইহই। ঘরোয়া খাওয়াদাওয়া। বড়দের পায়ে আবির ছোঁয়ানো, এইই…।’
একটু বড় হওয়ার পর তিনি চলে যেতেন মুম্বইয়ে। শশধর মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তা মুম্বইয়ের বিখ্যাত দোল৷ ওই বাড়ির ছেলে রাম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবশ্রীর দিদি রুমকির বিয়ে হয়েছে। ওই পরিবারেরই মেয়ে রানি মুখোপাধ্যায়। সেই স্মৃতি শেয়ার করে দেবশ্রী আরও জানান, ‘সবাই মিলে রঙের ফোয়ারা ছোটাতাম। গোটা সকাল ধরে দোল খেলে তার পর সবাই মিলে স্নান করতে যেতাম সমুদ্রে। তার মজাই আলাদা! তাই তখনও আমার কাছে দোল ভয়ানক হয়ে ওঠেনি।’
তবে এই দোল খেলতে গিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। ‘এক বার দোল খেলছি। পিছন থেকে কেউ রঙের সঙ্গে খারাপ কিছু মিশিয়ে আমার চুলে মাখিয়ে দিয়েছিলেন। দেখতে দেখতে আমার এক ঢাল চুল ঝরে পাতলা, ঝাঁটার কাঠির মতো! বিবর্ণ, নির্জীব। ‘ – আক্ষেপ প্রকাশ দেবশ্রীর। এই কারণেই এই ঢাল ঘন চুল তাকে কেটে ফেলতে হয়েছিল।