লড়াইয়ের জেদ, আর মানসিক জোর কোনোও যুদ্ধ জিততে গেলে এই দুই উপাদান থাকা আবশ্যিক। সকলের জীবনের পথ মসৃণ হয়না৷ কারোর কারোর চলার পথে এতই টানাপোড়েন থাকে যে তা উতরানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই বন্ধুর রাস্তাও অতিক্রম করা সহজ হয়, বিশ্বাস আর ভরসার একটা শক্ত করে ধরার মতো হাত পেলে। আর এইবার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) হাত ধরে জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াইটা প্রায় জিতেই ফেললেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)।
রিল লাইফের হাজার হাজার প্রেমের গল্পকে হার মানাতে পারে বাস্তবে সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা আর যাপন। আগেই জানা গিয়েছিল, মারণ রোগ ক্যান্সারে (cancer) এ আক্রান্ত ‘জিয়ন কাঠি’ খ্যাত ঐন্দ্রিলা। যত দিন গড়িয়েছে এই রোগের সাথে তাঁর লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠেছে। এহেন অসুখে ঐন্দ্রিলার বাড়তি শক্তি, এবং সাহস হয়ে উঠেছেন তাঁর প্রেমিক। তাই এই কঠিন লড়াইটাও হাসি মুখে লড়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী৷ একমুহূর্তের জন্য মনের মানুষটার কাছ ছাড়া হননি সব্যসাচী।
পর্দার ‘বামাক্ষ্যাপা’ যেন তাঁর প্রেমিকাকে তুলোয় মুড়ে বুক দিয়ে আগলিয়েছেন প্রতি মুহুর্তেই। প্রতি মাসে মাসেই প্রেমিকার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপডেট দিয়ে থাকেন অভিনেতা। তবে আজ তার লেখায় বেশ স্বস্তি মিলল তাদের অনুরাগীদের। অভিনেতা প্রথমেই লেখেন, ” ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে এটাই আমার শেষ লেখা। আর এটাই হলো ওর চিকিৎসার শেষ মাস। ”
এই দীর্ঘ লেখায় শুরু থেকে ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের কথা বর্ণনা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আজ জানান আরও একজন হার না মানা লড়াকু যোদ্ধার কথা। যিনি সম্পর্কে ঐন্দ্রিলার মা। একই ভাবে তিনিও ক্যানসার জয় করে ফিরে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
সব্যসাচী জানান, ” নতুন রেজিমেন অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষ অবধি কেমোথেরাপি চলবে, সেটার কষ্টটা অবশ্য ওকে সহ্য করতেই হবে। সাবধানতা অবলম্বন করে প্রতি তিন মাস অন্তর স্ক্যান করা হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শের অধীনে থাকতে হবে। অস্ত্রোপচারে শরীর থেকে বাদ গেছে অর্ধেক ফুসফুস, হৃদপিণ্ডের ছাল অর্থাৎ পেরিকার্ডিয়াম এবং ডায়াফ্রামের একাংশ। হাই প্রোটিন খাবার আর স্টেরোয়েড এবং বাকি ওষুধপত্রের প্রভাবে ওজন বেড়েছে প্রায় এগারো কেজি, ডাক্তার বলেছেন যে সেটা অবশ্য খুবই ভালো, চিকিৎসা চলাকালীন ওজন কমলেই বরং রক্তের সমস্যা দেখা দেয়। ঐন্দ্রিলা আমায় জানিয়েছে যে ধীরে সুস্থে ওজন কমিয়ে, একেবারে সুস্থ হয়ে পরের বছর পুনরায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেই, ফিরবে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে। “