বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক সিনেমা আছে যা পুরনো হলেও ছাপ রেখে গিয়েছে চিরকালের জন্য।হিন্দি সিনেমা জগতের এমনই একটি কালজয়ী সিনেমা হল ‘ভিরানা'(Veerana)। এই সিনেমার ভয়ঙ্কর,সুন্দরী ভূতের চরিত্রে অভিনয় করা জ্যাসমিন ধুন্নাকে (Jasmine Dunna) মনে আছে নিশ্চই। ১৯৮৮ সালে রামসে ব্রাদার্সের এই ভূতের সিনেমায় অভিনয় করে সেসময় রাতারাতি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।কিন্তু জেসমিন ধুন্না এখন কোথায়? তার হদিশ জানা নেই কারও। ব্লকবাস্টার হিট ভিরানা মুক্তি পাওয়ার পর আচমকাই নিরুদ্দেশ হয়ে যান বলিউডের এই ডকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রী।
জেসমিনের গায়ের রং থেকে ফিগার,চোখ, মুখের এক্সপ্রেশন থেকে অভিনয় দেখে সেসময় মুগ্ধ হয়েছিলেন গোটা দেশবাসী। কিন্তু আফশোস যে সিনেমা থেকে জ্যাসমিন এত জনপ্রিয়তা পেলেন সেই ভিরানা তাঁর শেষ এবং একমাত্র হিট সিনেমা হয়েই থেকে গেল। যদিও ইন্টারনেটে বলিউডের এই সুন্দরী অভিনেত্রী সম্পর্কে তথ্য খুবই কম, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে তার কোনো অ্যাকাউন্টও নেই। তবুও জানা যায় খুব অল্প বয়সেই অভিনয় নিয়েই নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জ্যাসমিন। তখন সবেমাত্র ১৩ বছরের কিশোরী জ্যাসমিন।
এই অল্প বয়সেই ১৯৭৯ সালে বিনোদ খান্নার সাথে ‘সরকারী মেহমান’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। যদিও সেসময় এই ছবিটি দর্শকমহলে তেমনভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। তাই সেসময় আবার পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি মডেলিং করতে শুরু করেছিলেন জ্যাসমিন। তবে পরবর্তীতে ভিরানায় তাঁর বোল্ড লুক দেখে রীতিমতো হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছিল অসংখ্য দর্শকদের।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে জ্যাসমিন বলেছিলেন ক্যামেরার সামনে জামাকাপড় খুলতেও তার কোনো আপত্তি ছিল না। তার কথায় ‘ রাজ কাপুরের (Raj Kapoor) মতো বড় মাপের পরিচালক পেলে আমি আমার জামাকাপড় খুলে ফেলতেও রাজি।’ভিরানা ছবির পর জেসমিন সম্পূর্ণরূপে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান এবং আর কোনোদিন বলিউডেফিরে আসেননি। তাঁর এই অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে নানা কথা শোনা যায়।
কেউ বলেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Daud Ibrahim) নজর পড়েছিল তার ওপর। এমনকি যৌন লালসা মেটানোর প্রস্তাব দিয়ে মোটা টাকাও অফার করা হয়েছিল তাকে। বলা হয় এমন অবাঞ্ছিত প্রস্তাব পেয়ে একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জ্যাসমিন। সেসময় অভিনেত্রী সমস্ত ঘটনা জানিয়ে বোম্বে পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু সেসময় মুম্বাইয়ের গোটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধেই ছিল দুর্নীতির অভিযোগ। তাই এই সমস্ত অবাঞ্ছিত ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে অন্য নাম নিয়ে জ্যাসমিন বরাবরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছেন। এখন তিনি সেখানেই থাকেন। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই জ্যাসমিনের অন্তর্ধান এখনও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে।