ভারতের সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম এক কালজয়ী সিনেমা হল শোলে (Sholay) । রমেশ সিপ্পি (Ramesh Sippy)পরিচালিত এই সিনেমা ১৯৭৫ সালের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেয়েছিল । তারপর মাঝে কেটে গিয়েছে অনেক গুলো বছর। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় পার করে আজ পর্যন্ত সিনেমা প্রেমীদের কাছে কমেনি শোলের জনপ্রিয়তা। চলতি মাসেই এই সিনেমা ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে।
১৯৭৫ সালে শোলে রিলিজ করার পর বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।সেসময় মুম্বাইয়ের মিনার্ভা সিনেমা হলে ৫ বছর ধরে চলেছিল ছবিটি। তখনকার দিনের মাল্টি স্টারার এই সিনেমায় জয় হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং বীরু হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা গান, এবং প্রত্যেক চরিত্রের অসামান্য অভিনয় দক্ষতা প্রশংসিত হয় আজও।
তবে একথা ঠিক যে শোলে ভক্ত যে কোনো সিনেমা প্রেমী একবাক্যে স্বীকার করবেন এই সিনেমায় যাঁর অভিনয় সব থেকে বেশী নজর কেড়েছিল তিনি হলেন গব্বর সিং চরিত্রের অভিনেতা আমজাদ খান (Amzad Khan)। আর অভিনয় আজও চুটিয়ে উপভোগ করেন দর্শকরা। তাই তাঁর অভিনীত এই গব্বর চরিত্রের আর কোনো বিকল্প কোনোদিন তৈরি হয়নি আর তৈরি করা সম্ভবও হবে না বলে বিশ্বাস করেন দর্শকরা।
তবে এখন শুনতে অবাক লাগে গব্বর সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করার প্রথম সুযোগ আমজাদ খান পাননি। এই চরিত্রে অভিনয় করার প্রথম অফার দেওয়া হয়েছিল জনপ্রিয় অভিনেতা ড্যানি ডেনজংগপাকে। কিন্তু তিনি সেইসময় গব্বর সিং-এর মতো চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। তবে তা নিয়ে আজও কোনো আফসোস নেই ড্যানির। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান ‘আমার লেশমাত্র আক্ষেপ নেই যে আমি গব্বর সিং-এর চরিত্র করতে পারিনি। কারণ যদি আমি শোলেতে অভিনয় করতাম তবে আমজাদ খানের মতো অমন দক্ষ অভিনেতার অভিনয় আমরা দেখতেই পেতাম না।’
তবে শোলে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসাবে তিনি একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিছেন ‘পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি কাজটি করতে পারিনি। আর সেই কারণেই আমায় শোলের মতো ছবির অফার ছেড়ে দিতে হয়। আমি সেই সময়েই ফিরোজ খানের ধর্মাত্মা সই করে ফেলেছিলাম। ফিরোজ ভাইকে ডেটও দিয়ে দিয়েছিলাম। কী করে ওই ছবি ছেড়ে আসতাম আমি? আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। ‘