কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ, এই কথাটা দেরিতে হলেও এখন মানুষ বেশ ভালোই বুঝতে পারছে। করোনা মহামারী আবারো একবার মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই সত্য। স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য এখন অনেকেই নানান পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। তবে, জানেন কি এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আর এই সমস্ত খাবার খেতে খাবারের পাতে যেমন বৈচিত্র থাকবে তেমনি স্বাস্থ্যও হবে আগের চাইতে ভালো।
ভারতে ভাত হল ব্যাপক প্রচলিত খাবার। প্রত্যেকেই সারাদিনে একবার হলেও ভাত (Rice) খান। আর বাঙালিদের তো ভাত চাই ই চাই! তবে, প্রথাগত চালের বাইরেও কিছু এমন চাল আছে যেগুলো অতিপ্রচলিত হয়। এই চাল যেমন রূপে অদ্ভুত তেমনি এর রয়েছে দারুন সমস্ত গুণ। বুঝতে পারছেন না তো? তাহলে শুনুন আমি বলছি লাল বা কালো রঙের চালের কথা। অবাক হলেন? হ্যাঁ, সত্যি বলছি সাদা নয় লাল চাল (Red Rice) বা কালো চালের (Black Rice) ভাত, যেটা খেতেও দারুন আর স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
আর এই ধরণের চালের বাণিজ্যিক মূল্যও বেশ ভালো। যার কারণে বর্তমানে বহু কৃষক এই লাল ও কালো চালের চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে কেরালা, ছত্তিশগড়ের মত রাজ্যে এইধরণের চাল ব্যাপক হারে চাষ শুরু হয়েছে। সাধারণ চাল যেখানে অনেক কম দাম পাওয়া যায় সেখানে এই চালের প্রতি কেজি ২০০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয় বাজারে।
বর্তমানে দৈনন্দিন যে চাল আমরা ব্যবহার করি তা শুধু মাত্র পেট ভরানোর কাজে আসে। কিন্তু এই লাল বা কালো চালে রয়েছে প্রোটিন,ফাইবার,ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি একাধিক পুষ্টিগুণ। এই চাল খেলে শরীরের চাহিদা যেমন পূরণ হয় তেমনি স্বাস্থ্যের গঠনও বেশ ভালো হয়।
প্রথমের দিকে কেরালা, ছত্তিশগড়, বিহার এই সমস্ত রাজ্যে এই লাল ও কালো চালের চাষ হয়। সেখানে কৃষকেরা সাধারণ চালের থেকে প্রায় ৩ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত লাভ পেয়েছেন এই চালের চাষ করে। আর এবার বাংলাতেও এই চাষের সম্পর্কে কৃষকদের আগ্রহী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মত জেলায় এই চাষের কাজে বেশ কিছুটা আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষকেরা। আশা করা হচ্ছে এই চালের চাষের ফলে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি মানুষেরাও এই চাল খেয়ে সুস্বাস্থের অধিকারী হবেন।