• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

হাতে কাজ নেই, মাথায় ঋণের বোঝা! অভাবের তারণায় বিষ খেলেন কপিলের সহকারী জনপ্রিয় কমেডিয়ান

১৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন কমেডিয়ান অভিনেতা তীর্থানন্দ রাও (Teerthanand Rao), কপিল শর্মার (Kapil Sharma) সাথেও কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু গত ২৭ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যে বেলায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তবে আশেপাশের প্রতিবেশীরা তৎক্ষনাৎ ঘটনা জানতে পেরে, তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। অবশেষে ৪ দিন হাসপাতালে থাকার পর তীর্থানন্দ বাড়ি ফিরে এসেছেন।

জানা যাচ্ছে, ফের মহামারীর তৃতীয় ঢেউ মাথাচাড়া দিতেই কাজ হারা পড়েছেন তীর্থনন্দ। বর্তমান পরিস্থিতির মানসিক চাপ সামাল দিতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নেন কৌতুক অভিনেতা। দীর্ঘদিন অভাবে দিন কাটছিল তার, ধার দেনায় জর্জরিত তিনি, অবশেষে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় আর তখনই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

   

Teerthanand Rao,nana patekar,kapil sharma,suicide,তীর্থানন্দ রাও,নানা পাটেকর,কপিল শর্মা

দুই বছর ধরেই টানা পোড়েন চলছিল তার সংসারে, তবু আশা নিয়ে বাঁচছিলেন তিনি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি দেখে শেষ আশা টুকুও হারান তিনি। যদিও এবার প্রতিবেশীদের সহায়তায় সুস্থ হয়েই বাড়ি ফেরেন তিনি।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তীর্থানন্দ জানান, “হ্যাঁ আমি বেশ খেয়েছিলাম। একদিকে আর্থিক অনটন অন্যদিকে কাছের মানুষ গুলোও আমাকে ছেড়ে গেছে। আমি হাসপাতালে ছিলাম কিন্তু আমার মা ও ভাই আমাকে দেখতেও আসেননি। আমরা একই কমপ্লেক্সে থাকি। গত ১৫ বছর আমার পরিবারের সাথে কোনোও সম্পর্ক নেই। আমার চিকিৎসা বাবদ তারা একটি পয়সাও সাহায্য করেননি, আমার মাথায় অনেক ঋণের বোঝা। ”

Teerthanand Rao,nana patekar,kapil sharma,suicide,তীর্থানন্দ রাও,নানা পাটেকর,কপিল শর্মা

নানা পাটেকারের লুক অ্যালাইক এই অভিনেতা আরও জানান, “হাসপাতাল থেকে ফেরার পরেও আমি একাই আছি। এর চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে কারো জন্য। মা আজ পর্যন্ত খাবারও পর্যন্ত অফার করেননি। স্ত্রীও নতুন বিয়ে করেছে। আমাদের একটি মেয়ে ছিল সেও খোঁজ নেয়না। ”

আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ নিয়ে তীর্থানন্দ বলেছেন, ‘আমার পরিবার এবং কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে পারিনি। আমি জানি না কিভাবে এ থেকে মুক্তি পাব। এখানে কাজও বন্ধ, বাড়িতে একাকীত্ব যেন মারতে আসে। ‘ তবে পুলিশ এবং চিকিৎসক বন্ধুরা তাকে বুঝিয়েছেন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন না তিনি।