খাদ্যরসিক বাঙালি খেতে বড় ভালোবাসে। তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম সর্বদাই ভালো খাবারের সন্ধানে থাকে সকলেই। গরমকালের সবজি বলতে সাধারণত আলু.পটল.কুমড়ো ইত্যাদিকেই বোঝায়। এবার অনেকেই ভাবেন যে আলু, পটল, কুমড়ো দিয়ে কি আর তেমন রান্না হবে! তবে আপনাদের বলি পটল দিয়েই কিন্তু দারুন রান্না হতে পারে। আজ আপনাদের চিলি পটল রেসিপি (Chili Potol Recipe) সম্পর্কেই বলবো।
বাড়িতে থাকা পটল দিয়ে খুব সহজে আর অল্প সময়েই তৈরী হয়ে যাবে এই চিলি পটল। তাছাড়া এটা এমনই একটা রেসিপি যেটা ভাত, রুটি, লুচি বা পরোটা সব কিছুর সাথেই খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়াও — পটলের অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এই সবজিটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আয়ুর্বেদে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়।
চিলি পটল তৈরির উপকরণঃ
- পটল ৮-১০ টা
- কাঁচা লঙ্কা বাটা, সেদ্ধ করা শুকনো লোকটা বাটা, আদা বাটা
- গোটা জিরে, গুঁড়ো জিরে, হলুদ গুঁড়ো
- টমেটো পেস্ট (২টো টমেটো)
- টকদই, কাজু বাদাম পেস্ট
- গরম মশলা
- তেল ও নুন পরিমাণ মত
চিলি পটল তৈরির উপকরণঃ
- সবার প্রথমে পটলগুলিকে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে কেটে নিতে হবে। (চাইলে গোটাও রাখতেই পারেন)
- এরপর সেগুলোকে নুন জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- এবার কড়ায় সর্ষের তেল দিয়ে গরম হলে একে একে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, ফোঁড়ন ও টমেটো পেস্ট দিয়ে ভালো করে কষতে হবে।
- কষা হয়ে গেলে তাতে নামমাত্র হলুদ আর শুকনো লঙ্কা ও কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা বাটা দিয়ে আবারো কষতে হবে।
- এরপর একে একে টকদই, কাজু বাটা দিয়ে আবার খানিক কষে নিতে হবে। ব্যাস আমাদের আসল কষা মশলা রেডি।
- এবার পটলগুলো দিয়ে দিতে হবে এর মধ্যে। আর সামান্য জল দিয়ে দিতে নেড়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
- এরপর ১৫-২০ মিনিট সময় দিলেই রান্না হয়ে যাবে। তবে যাঁরা তেল পছন্দ করেন তারা মাঝে একবার ঢাকনা খুলে খানিকটা কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে দিতে পারেন।
- রান্না হয়ে গেলে নামানোর আগে খানিক গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। আপনার চিলি পটল পাতে দেবার জন্য রেডি।