রাত পোহানোর অপেক্ষা তারপরেই রঙের উৎসব দোল (Festival of Color Holi 2022)। এই দিনে রঙের খেলায় মেতে ওঠে ছোট থেকে বড় সকলেই। জলের মধ্যে রঙ গুলে রঙ মাখামাখি থেকে শুরু করে আবির মাখানো সব মাইল বসন্তের এই উৎসবে রঙিন হয়ে ওঠে সর্বত্র। তবে প্রতিবছরই দোলের রঙ খেলার পর দেখা যায় একটা সমস্যা, কেমিক্যালি তৈরী করা রঙ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতি তো হয়ই সাথে নানা ধরণের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তবে এবার আর নয়, এই বসন্তে রঙের উৎসবকে সুন্দরের পাশাপাশি সুরক্ষিত করে তুলতে বংট্রেন্ডের পর্দায় দেখে নিন বাড়িতেই প্রাকৃতিক রঙ (Natural Colors) তৈরির পদ্ধতি।
আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লেভার আশায় কেমিক্যাল দিয়ে রঙ তৈরী করে। যেটা আমাদের চামড়ার পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। অনেকেরই এই রং ব্যবহারের ফলে চর্মরোগ, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। আর মহিলাদের মধ্যেও ত্বকের সমস্যার পাশাপাশি মাথায় কেমিক্যাল রঙ মাখলে চুলের সমস্যা দেখা যেতে পারে, এমনকি চুল পড়াও শুরু হতে পারে। তাই এই সমস্যার সমাধান পেতে সবচাইতে ভালো উপায় হল বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে হোলির রং তৈরী করে নেওয়া। যেগুলো একেবারেই কেমিক্যাল ফ্রি ও ত্বকের কোনোরকমের ক্ষতি করে না।
কিভাবে বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রং তৈরী করবেন? দেখে নিন সেই উপায় (Homemade Natural Colors for Holi 2022)
লাল রঙ : দোলে সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়। লাল রঙ তৈরির জন্য জবা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে নিয়ে সেগুলোকে গুঁড়ো করে ময়দার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এছাড়াও আরও একটু উপায় রয়েছে টকটকে গাঢ় লাল রঙ তৈরী করার। শুদ্ধ হলুদ গুঁড়োর মধ্যে পাতিলেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিলেই গাঢ় লাল রঙ তৈরি হয়ে যাবে। তবে লেবুর রসের পরিমাণ বেশি হতে হেব।
গোলাপি রঙ : লাল রঙের পরেই বেশ জনপ্রিয় গোলাপি রঙ। গোলাপি রং প্রাকৃতিকভাবে তৈরী করা খুবই সহজ। এর জন্য বিট টুকরো করে নিয়ে সারারাত গরম জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। তাহলে সকালে উঠে প্রাকৃতিক গোলাপি রং পেয়ে যাবেন।
হলুদ রঙ : হলুদ রঙ অনেকেই আবির হিসাবে তো কেউ রঙ হিসাবে লাগিয়ে থাকেন। এই রঙ তৈরীর জন্য বেসন গুঁড়ো ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিলেই হয়। তবে বেসন ও হলুদ গুঁড়োর অনুপাত হতে হবে ৪: ১। এছাড়াও গাঁদা ফুলের পাপড়ি শুকনো করে গুড়িয়ে নিলেই হলুদ রঙ পাওয়া যাবে।
নীল রঙ : নীল রঙ অনেকের কাছেই বসন্ত উৎসবে খুব প্রিয়। এই রঙ তৈরির জন্য নীলকণ্ঠ ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই শুকনো পাপড়ি গুড়িয়ে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে প্রকৃতি নীল রঙ।
সবুজ রঙ : সবুজ রঙ তৈরী করাও খুবই সহজ। এর জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছের পাতা শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো হয়ে গেলে সেই পাতা গুড়িয়ে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে সবুজ রঙ। এছাড়াও চাইলে মেহেন্দির সাথে সমপরিমাণ ময়দা মিশিয়েও সবুজ রঙ তৈরী করে নেওয়া যায়। তবে সে পরে বাদামী রঙে পরিণত হয়ে যায়।