বাঙালি (Bengali) মানেই ভোজনরসিক (Foodlover)। তা সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন। খাওয়া দাওয়া তথা ভুরিভোজে কিন্তু এই জাতির জুড়ি মেলা ভার। আর একথা বলতেই হবে বাঙলিরা কিন্তু শুধুই খেতে নয় খাওয়াতেও ভালোবাসেন খুব। রান্না বান্নাতেও ক্লান্তি নেই একফোঁটা। আজ পর্যন্ত বাংলার হেঁশেল থেকে না জানি বেরিয়েছে কতশত জিভে জল আনা থাকা সব মাস্টারপিস রেসিপি।
এমনিতে বাঙালির হাতের রান্নার জাদু বহুদিন আগেই বাংলা ছাড়িয়ে পৌঁছেছে পৃথিবীর নানান প্রান্তে। জাতীয় স্তরেও তাবড় তাবড় সব শেফদেড় মুখেও শোনা যায় বাঙালি রান্নার জয়জয়কার। এবার বাংলার রান্নাঘরের অত্যন্ত পরিচিত এমনই এক সবজি পটল দিয়ে আদ্যোপান্ত বাঙালি কয়েকটি রেসিপিকে এক আলাদাই মাত্রা দিলেন বাঙালি কন্যা দ্যুতি ব্যানার্জী (Dyuti Banerjee)।
বাজারে অত্যন্ত সহজলভ্য বারোমাসের সবজি পটল দিয়েই তিনি সম্প্রতি বাজিমাত করেছেন ‘মাস্টার শেফ ইন্ডিয়া’ (Master Chef India)র মতো জাতীয় স্তরের কুকিং কম্পিটিশনে। বাঙালি হেঁশেলের অত্যন্ত পরিচিত পটলের তিনটি রান্না পটলের দোলমা,পটল পোস্ত এবং পটলের খোসা বাটা দিয়ে থালা আলাদা আলাদা ভাগে ভাত মেখে থালা সাজিয়েছিলেন দ্যুতি।
অত্যন্ত যত্ন নিয়ে তৈরী নিজের সৃষ্টির নামও দিয়েছেন বেশ অভিনব।বাঙালির সাথে খাওয়া দেওয়ার ব্যাপারটার মতোই আদ্যোপান্ত জড়িয়ে রয়েছে কবিতা। এবার সেই বিষয়টাই নিজের রান্নার রেসিপিতে তুলে এনে এই ‘এনার্জি’ গার্ল নাম দিয়েছিলেন ‘পোয়েট্রি উইথ পটল প্ল্যাটার’। যা সামনে থেকে দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত সকল বিচারকরা।
বিশেষ করে জনপ্রিয় শেফ তথা এই শোয়ের বিচারকদের মধ্যে অন্যতম বিকাশ খান্না (Vikas Khanna) দ্যুতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন ‘আপনি আপনার রান্নায় অনেক কিছু ব্যবহার করেছেন এবং রেখেছেন। তাতে যেমন টক পদ আছে, তেমনই আছে ঝাল।’ বঙ্গতনয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই প্ল্যাটারটি একটি ‘জিনিয়াস ক্রিয়েশন।’ এদিন এই রেসিপি দিয়েই মাস্টারশেফ ইন্ডিয়ার সেরা ১৬তে জায়গা করে নেন দ্যুতি। প্রসঙ্গত নতুন বছরের শুরুতেই সোনি টিভিতে শুরু হওয়া এই শোয়ের চলতি সিজনে বিচারকের আসনে রয়েছেন বিকাশ খান্না, রণবীর ব্রার এবং গরিমা আরোরা।