গত ৩রা জুলাই স্ত্রী কিরণ রাওয়ের (Kiran Rao) সঙ্গে ১৫ বছরের বিবাহ ভেঙে দেওয়ার কথা সকলের সামনে আনেন আমির খান (Aamir Khan)। বলি-অভিনেতার (Bollywood) দ্বিতীয় বিবাহও এভাবে ভেঙে যাওয়ার কারণ খুঁজতে অত্যুৎসাহীরা গবেষণার রত। অন্যদিকে ছেলে আজাদ রাও খানের (Azad Rao Khan) লালনপালন যে দু’জনেই দায়িত্ব নিয়র করবেন, সে বিষয়ে সকলকে অবগত করেছেন আমির-কিরণ।
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও নানা কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে আমিরের নাম। সম্প্রতি আমির ও কিরণ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “বেশ কিছু সময় ধরেই আলাদা থাকছিলাম আমরা দু’জন। অবশেষে আলোচনা করেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” প্রাক্তন দম্পতির বক্তব্য, “আমাদের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও দায়িত্ববান মা-বাবা হিসেবে একসাথেই আমরা বড়ো করে তুলব আজাদকে।” পানি ফাউন্ডেশনের (Paani Foundation) আওতায় সকল ছবিতে একসাথে কাজ করতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমির-কিরণ। তাঁদের সাফ কথা, “আমাদের পরিবার ও বন্ধুস্বজনদের জন্য এই কঠিন সিদ্ধান্ত এত সহজে নিতে পেরেছি আমরা। আশা করি, জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে আপনাদের ভালোবাসা একইভাবে পাবো আমরা।”
বিবাহবিচ্ছেদের বহু আগে তুর্কিতে অভিনয়ের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ট্রোলের (Troll) শিকার হন অভিনেতা। ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha) ছবির শ্যুটিং চলাকালীন ২০২০-র আগস্টে তুর্কির রাষ্ট্রনায়কের স্ত্রী আমিন এরদোগানের (Emine Erdogan) সঙ্গে ছবি পোস্ট (Post) করেন আমির। ‘ভারতের শত্রুর সঙ্গে আলাপ’ করেছেন আমির, নেটিজেনদের এমন অভিযোগে বিদ্ধ হন আমির।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েও শিরোনামে উঠে আসেন আমির। ‘দাঙ্গাল’ (Dangal) ছবিতে আমিরের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বলিমহলে অভিষেক হয় অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের (Fatima Sana Shaikh)। আমির ও ফাতিমার নাম একসঙ্গে জড়িয়ে যখন জাতীয় সংবাদে কাটাছেঁড়া শুরু হয়, তখনই চিড় ধরে আমির-কিরণের সম্পর্কে। পরবর্তীতে এযেন সম্পর্ককে গুজব আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দেন অভিনেত্রী ফাতিমা।
দেশদ্রোহীতার অভিযোগেও একদা বিদ্ধ হন কিরণ ও আমির। দেশে ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনার মাঝে নিজেদের অস্তিত্বের বিষয়ে সন্দিহান হয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে মুখ খোলেন আমির। অভিনেতা বলেছিলেন, “আমরা যথেষ্ট ভয়ার্ত। আমার স্ত্রী কিরণ বলছে হয়তো আমাদের এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত!” দেশের বিরুদ্ধে ও জাতীয়তাবাদী ভাবনাকে আঘাত করার অভিযোগে আমিরকে বিদ্ধ করে আদালতে মামলাও রুজু হয়।
আজ থেকে বছর কুড়ি আগে নিজ ব্লগে (Blog) এমন এক পোস্ট করেন আমির, যাতে আমিরের সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। আমির ব্লগে লেখেন, “গাছের তলায় বসে আমি আমার প্রিয় বোর্ড গেম খেলছি। এদিকে শাহরুখ আমার পা চাটছে, আমিও ওকে বিস্কুট খাইয়েই চলেছি।” এরপরেই রে রে করে তেড়ে আসে কিং খানের (King Khan) ফ্যানমহল। পরবর্তীতে আমির জানান যে, শাহরুখ তাঁর বাংলোর কেয়ারটেকারের কুকুরের নাম। সেই কেয়ারটেকার নাকি শাহরুখের বড়ো ভক্ত! যদিও আমিরের যুক্তি ধোপে টেকেনি সেইসময়ে।
২০০৬ সালে সমাজকর্মী মেধা পাটকরের (Medha Patkar) সঙ্গে ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন’-এ (Narmada Banchao Andolon) সামিল হন আমির। নর্মদা বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার, তার প্রতিবাদে শুরু হয় এই আন্দোলন। চাষী ও অন্যান্য নাগরিকদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন আমির। ফলস্বরূপ গুজরাট সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যে প্রেক্ষাগৃহ থেকে তুলে নেওয়া হয় আমিরের ‘রঙ দে বাসন্তী’ (Rang De Basanti) ও ‘ফানা’ (Fanaa)।