পাহাড় যাওয়ার কথা উঠলেই অধিকাংশ বাঙালির মাথায় প্রথমে দার্জিলিংয়ের কথাই আসে। তবে এর বাইরেও যে আরও অনেক হিল স্টেশন (Hill Station) আছে তা আজও অনেকের অজানা। হালকা শীতে সেসব পাহাড়ি জায়গার সৌন্দর্য যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আজ আপনার জন্য এমনই একটি স্থানের হদিশ নিয়ে এসেছি আমরা।
আজকের প্রতিবেদনে যে জায়গার খোঁজ তুলে ধরা হয়েছে তার নাম হল ‘কার্শিয়াং’ (Kurseong)। দার্জিলিং জেলার এই শৈল শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাষায় বয়ান করা বেশ কঠিন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪৫৮ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই জায়গায় প্রায় সারা বছর ঠাণ্ডার আমেজ থাকে। আর যেহেতু দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ওপরে তাই এখানে পর্যটকদের ভিড়টাও অনেকটাই হয়।
ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মতে, কার্শিয়াং ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় হল অক্টোবর থেকে এপ্রিল। এই সময়টায় এখানকার সৌন্দর্য যেন অনেকখানি বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি বাদলে মরসুমে তথা বর্ষাকালে এখানে না যাওয়াটাই শ্রেয়।
আরও পড়ুনঃ শহুরে কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির কোলে! মাত্র ১২০০ টাকায় ঘুরুন নর্থ বেঙ্গলের এই অফবিট পাহাড়ি গ্রাম
কী কী দেখবেন?
কার্শিয়াং এমন একটি জায়গা যেখানে ঘোরার প্রচুর জায়গা রয়েছে। নিজের চোখে চা বাগান এবং চা প্যাকেজিং দেখতে চাইলে আপনি চলে যেতে পারেন মাকাইবাড়ি টি এস্টেট। পাশাপাশি কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখতে পারেন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তর অপূর্ব দৃশ্য। হাতে সময় থাকলে ডাউহিল এবং ডো হিল পার্ক, ঈগলস ক্রাগ এবং গিদ্দা পাহাড় ভিউ পয়েন্ট যেতে পারেন। এছাড়া সঙ্গে বাচ্চা থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন এখানকার বিখ্যাত ডিয়ার পার্ক এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মিউজিয়াম।
আরও পড়ুনঃ খরচ কম মজা বেশি! শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন কালিম্পংয়ের এই অফবিট পাহাড়ি গ্রাম থেকে, রইল ঠিকানা
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া অথবা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে আপনাকে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে হবে কার্শিয়াং। এছাড়া আপনি যদি বিমান করে যান তাহলে বাগডোগড়া থেকে গাড়ি করে গন্তব্যে পৌঁছতে হবে। তবে চাইলে আপনি বাসে করেও যেতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেকটা সময় লাগবে।
কোথায় থাকবেন?
কার্শিয়াংয়ে বিভিন্ন বাজেটের প্রচুর হোটেল, পেয়িং গেস্ট, রিসর্ট আছে। নিজের বাজেট অনুযায়ী যে কোনও একটি বেছে সেখানে রাত কাটাতে পারবেন আপনি। পাশাপাশি এখানে গেলে বাঙালি খাবারেরও কোনও সমস্যা হবে না। কার্শিয়াংয়ে প্রচুর বাঙালি হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে, সেখানে ঢুঁ মারলেই পেয়ে যাবেন নিজের পছন্দ মতো খাবার।