ঋত্বিক রোশন তাঁর আসন্ন ছবি ‘বিক্রম বেধা’র জন্য ফের শিরোনামে উঠে এসেছেন। শোনা যাচ্ছে, বলিউড সুপারস্টার ছবির নির্মাতাদের কাছে নাকি এমন একটি প্রস্তাব রেখেছেন, যে কারণে ছবির বাজেট এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যেখানে তামিল ‘বিক্রম বেধা’র বাজেট মাত্র ১১ কোটি টাকা ছিল, সেখানে ঋত্বিকের এই প্রস্তাবের কারণে তার হিন্দি রিমেকের বাজেট ১৭৫ কোটি টাকা হয়ে গিয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বলিউডের (Bollywood) একাধিক সুপারস্টারের জন্য বহু ছবির বাজেট বেড়ে গিয়েছিল।
মুঘল-এ-আজম (Mughal-E-Azam)- ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি তৈরি হতে ১৬ বছর সময় লেগেছিল। এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীন দিলীপ কুমার এবং মধুবালার প্রেম হয় এবং তা ভেঙেও যায়। এই দুই তারকার পারস্পরিক সম্পর্ক-সহ আরও নানান কারণে ছবির বাজেট অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় ১০-১৫ লাখ টাকার বাজেট স্থির করা এই ছবি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
মেরা নাম জোকার (Mera Naam Joker)- ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি তৈরি করতে ৬ বছর সময় লেগেছিল। রাজ কাপুর অভিনীত এই ছবিটি তাঁরই জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। তিনি এই ছবিটি ৬টি ভাগে তৈরি করতে চাইতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩টি ভাগে তৈরি হয়। ৬ বছর ধরে তৈরি হওয়া এই ছবিতে প্রচুর বদল হয়েছিল, সেই কারণে ছবির বাজেট বেড়ে গিয়েছিল। এই ছবিটি তৈরি করতে গিয়ে রাজ কাপুরকে তাঁর ‘আরকে স্টুডিও’ পর্যন্ত বন্ধক রাখতে হয়েছিল।
রেস ৩ (Race 3)- ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই মাল্টিস্টারার এই ছবির নামও তালিকায় রয়েছে। ছবিতে প্রথমে সইফ আলি খানের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু পরে সলমন খানকে নেওয়া হয়। তাঁর একাধিক দাবিতে এই ছবির বাজেট প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি ভাইজান সেই সময় হরিণ শিকার মামলায় ফেঁসে যাওয়ায় আরও সমস্যা হয়। সেই সব কারণে ছবির বাজেট ১৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।
ঠাগস অফ হিন্দুস্তান (Thugs of Hindostan)- প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হওয়া এই ছবিটি বলিউডদের ইতিহাসের অন্যতম দামি ছবি। আমির খান, অমিতাভ বচ্চন এবং ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত এই ছবির বাজেটও নানান কারণে বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর তা হয়েছিল আমিরের কারণে। প্রথমে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বিদেশে ঘুরতে চলে যান এবং এরপর ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ছবির প্রোমোশনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এই কারণেই সুপারফ্লপ এই ছবির বাজেট ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।
মণিকর্ণিকা(Manikarnika: The Queen of Jhansi)- কঙ্গনা রানাউত অভিনীত এই ছবিটির পরিচালক মাঝপথে কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এরপর সেই দায়িত্ব কঙ্গনা নিজের কাঁধে তুলে নেন। অভিনেত্রী-পরিচালকের সঙ্গে মত পার্থক্য হওয়ায় অভিনেতা সোনু সুদও মাঝপথে ছবিটি ছেড়ে দেন। তাঁর স্থানে এরপর সই করেন অভিনেতা জিশান আয়ুব। এইসব কারণে বহু দৃশ্য আরও একবার শ্যুট করতে হয়েছিল। আর এই সব কারণেই ছবির বাজেট ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।