এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন টলিউড (Tollywood) অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। তবে অভিনয় নয় এই মুহূর্তে বনি সেনগুপ্ত আলোচনায় রয়েছেন একেবারে অন্য কারণে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েই শিরোনামে এসেছেন অভিনেতা। সদ্য তাকে তলব করেছিল ইডি।
আর ইডির ডাকে সাড়া দিয়েই সম্প্রতি পরপর দু দাফায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন বনি। তবে এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির ‘লিডিং মোস্ট হিরো’ (Leading Most Hero) বলে ঘোষণা করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বনির উদ্দেশ্যে ধেয়ে এসেছে একের পর এক কটাক্ষের বন্যা। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে অভিনেতার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে এইসময় ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সাথে।
এ প্রসঙ্গে খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করেই অভিনেতা জানিয়েছেন ‘বাংলা ছবির সঙ্গে জড়িত নায়ক-নায়িকাদের ‘ছোট’ করে দেখার একটা চল হয়ে গিয়েছে। বাংলা ছবির নায়কদের উপার্জন ‘বড়’ অঙ্কের হতে পারে না, এটাও বলা হচ্ছে’। সেই সাথে বনির দাবি বাংলা ছবিকে বড় জায়গায় দেখতে না পারলে ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে না। তাই এ প্রসঙ্গে গোটা টলিউডকে একজোট হওয়ার দাবি জানিয়ে বনি বলেছেন ‘আমি সেই সব মানুষদের বিরোধী যারা নিজেরা শিল্পী হয়ে অন্য শিল্পীকে নিচে নামানোর চেষ্টা করে’।
এছাড়া বনির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় গাড়ি কেনার পর ইডির তাঁকে নোটিশ পাঠানো এবং গোটা ঘটনায় তার অনুভূতিটা ঠিক কেমন? এ প্রসঙ্গে খানিকটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেই অভিনেতা বলেছেন ‘বাংলা ছবি জগতে কাজ করতে আসার পর কিছু ক্ষেত্রে চুক্তি ছাড়া কাজ করার ব্যাপারে আমি অভ্যস্ত ছিলাম’।
তবে এই ঘটনার পর থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যখনই তিনি কাজ করবেন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেই কাজ করবেন। এরপর নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন ‘তার মধ্যে নাকি এই সময় একটা নার্ভাসনেস কাজ করছিল। যাকে তিনি ভয় বলতে নারাজ।
তবে এদিন নিজের করা ভুলের সাফাই দিয়ে বনি এদিন বলেন ‘আমি অন্যায় করিনি, ভুল করেছি। আমার নাম যাতে খারাপ না হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার ছিল। আমার উপার্জনের টাকা দিতে হলো বলে আর্থিক ক্ষতি হল। তবে বনি এদিন জানিয়েছেন এই গোটা ঘটনায় একটা জিনিস তার খুব খারাপ লেগেছে। এই ঘটনায় যেভাবে বনির প্রেমিকা কৌশানীর নাম জড়ানো হয়েছে তাতে তাঁর খুব খারাপ লেগেছে।