অনেক দিন ধরেই ঠান্ডা লড়াই চলছে বলিউড (Bollywood) এবং সাউথ ইন্ডাস্ট্রির (South Industry)। ভারতের বৃহত্তর চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে এতদিন পর্যন্ত কলার তুলতো বলিউড, কিন্তু তেলুগু, কন্নড় ,মালয়লাম ছবি হিন্দিতে ডাবিং হতেই বলিউডের শাহরুখ সলমন অজয় দেবগণের (Ajay Devgan) ফ্যানেরাও এখন আল্লু অর্জুন (Allu Arjun), প্রভাস (Prabhas), রামচরণের (Ramcharan) , যশের (Yash) মতো অভিনেতাদের নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে বলিপাড়ার সুপারস্টারেরা।
এক সময় দক্ষিণী চলচ্চিত্র কেবল দক্ষিণের দর্শকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন তার গন্ডি সারা দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও জনপ্রিয়। স্বভাবতই, এই ঘটনার পর থেকে রীতিমতো স্পষ্ট দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে সিনে প্রেমীরা। একদল রয়েছেন বলিউডের পক্ষে এছাড়াও একটা বিরাট অংশ রয়েছে দক্ষিণের ছবির পক্ষে৷
সত্যি বলতে বেশি দিন পিছতে হবেনা, গত ৩ ৪ মাসেও চোখ রাখলে দেখা যাবে বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে পর পর সাউথেরই ছবি। ‘বাহুবলী, ‘পুষ্পা’ ‘আর আর আর’, ‘কেজিএফ ২’ এই ছবি গুলি হিন্দী ভাষার ডাবিং থেকে শুরু করে সব ভাষাতেই বক্স অফিসে বিরাট অঙ্কের ব্যবসা করে ফেলেছে। কোনও কোনও ছবি ইতিমধ্যেই ১০০০ কোটির ক্লাবেও ঢুকে গিয়েছে।
সেখানে মাত্র ৩০০, ৪০০ কোটির ব্যবসা করতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে বলিউডে। গত এক বছরে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছাড়া এমন কোনও বলিউড ছবি নেই যা দক্ষিণী ছবির সাথে পাঙ্গা নেওয়ারও জায়গা রয়েছে। আর এই দক্ষিণী ছবির রমরমা দেখেই সকলের একটাই প্রশ্ন, বলিউডের বিপর্যয় কি তবে আসন্ন?
এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন, অভিনেতা অজয় দেবগণ। তার বক্তব্য, ব্লকব্লাস্টার ছবি ‘আরআরআর’ এবং ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি ‘ ছবিতে তিনিও অভিনয় করেছেন। তাই বলিউড আর দক্ষিণের মধ্যে এই বিবাদ আনার দরকার নেই। সবার আগে এই ভেদাভেদ বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “এর আগে হলিউড নিয়েও এই একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। এই ধরনের কথাগুলো বলা হবেই, কিন্তু এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বলিউড ভাল করতেই থাকবে।”