অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন বলিউড (Bollywood) অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কিন্তু তাঁর মনোবল এতটাই জোরালো ছিল যে তিনি কখনই স্বপ্ন দেখার হাল ছাড়েননি। তাই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হন্যে হয়ে কাজের সন্ধানে কখনো ফুটপাতে রাত কাটিয়েছেন তো কখনো ভুগেছেন প্রবল আর্থিক কষ্টে ।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ১৯৭৬ সালে বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেন পরিচালিত ‘মৃগয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেই কেরিয়ারের শুরুতেই জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু মায়ানগরী মুম্বাইতে তার পরের লড়াইটা সহজ ছিল না একেবারেই। মুম্বাইয়ে কাজ পাওয়ার জন্য রক্ত জল করা পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। বারবার কাজ হারিয়েও কিছুতেই হার মানেননি তিনি।
কারণ তাঁর মধ্যে শুরু থেকেই ছিল অভিনেতা হওয়ার এক প্রবল খিদে। জানা যায় সেসময় মুম্বাইতে ‘প্লে বয়’ নামে এক দর্জির দোকান ছিল। সেখানে বলিউডের বড় বড় সব সেলিব্রিটিরা তাঁদের জামা কাপড় বানাতে দিতেন। সেই দোকানের খোঁজ পেতেই বলি তারকাদের সাথে কথা বলার আশায় মিঠুন রোজ যেতেন সেই দোকানে।
সেখানেই একদিন এখনকার জনপ্রিয় এক বলিউড সুপারস্টারের বাবার সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল ডিসকো কিং মিঠুনের। তিনি হলেন সালমান খানের বাবা সেলিম খান। সেলিম খান সেদিন মিঠুনকে পর্যবেক্ষণ করে সরাসরি তাঁর কাছে জানতে চেয়ে ছিলেন ‘তোমার চোখমুখ দেখলেই মনে হয় অভিনয়ের খিদে রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাও তুমি।’