দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে (KK) প্রয়াত হয়েছেন। গত বছর এই দিনে আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা (Jyothy Krishna) এবং দুই সন্তানকে ফেলে পরলোক গরম করেন গায়ক। শহর কলকাতাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন কেকে। তাঁর মৃত্যুর পর এক বছর কেটে গেলেও সেই ধাক্কা আজও অনেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
কেকের মৃত্যুর সঙ্গেই সম্পূর্ণ বদলে যায় তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের জীবন। স্বামীর শেষকৃত্যে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেই ছোট্টবেলা থেকে যে মানুষটার হাত শক্ত করে ধরেছিলেন, আচমকা তাঁর চলে যাওয়া যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না জ্যোতি। স্কুলজীবন থেকে শুরু হয়েছিল কেকে এবং জ্যোতির প্রেমকাহিনী (Love Story)। আজ গায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে (Death Anniversary) জেনে নেওয়া যাক তাঁর লাভস্টোরি কেমন ছিল।
নামী কমেডিয়ান কপিল শর্মার শোয়ে গিয়ে নিজের লাভ লাইফ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কেকে। গায়ক বলেছিলেন, স্কুলে পড়ার সময় ষষ্ট কিংবা সপ্তম শ্রেণি থেকে তাঁর প্রেম কাহিনী শুরু হয়েছিল। অত ছোট বয়স থেকেই জ্যোতির প্রতি একটা টান অনুভব করতেন তিনি। একদিন কিছু না ভেবেই তাঁকে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি তোমায় জীবনসঙ্গী হিসেবে পাশে চাই’।
বিয়ের কিছুদিন আগে অবধিও বেকার ছিলেন কেকে। তবে জ্যোতিকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার জন্য সেলসম্যানের চাকরি নেন তিনি। কারণ তিনি জানতেন, জ্যোতির বাড়ির লোক একজন বেকার ছেলের সঙ্গে নিজেদের মেয়ের বিয়ে কিছুতেই দেবেন না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। তবে কয়েকমাস সেই চাকরি করে ছেড়ে দেন কেকে।
গায়ক জানান, বিয়ের পর জ্যোতি এবং শ্বশুরমশাইয়ে অনুপ্রেরণায় ফের সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে রিলিজ করে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘পল’। ব্যস, এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। রিলিজের দু’দশক পরেও আজ লোকের মুখে মুখে ঘোরে এই গান।
শোনা যায়, যে মানুষটির কণ্ঠে একাধিক প্রেমের গান প্রাণ পেয়েছে, তিনি নিজেও বাস্তবে অত্যন্ত রোম্যান্টিক ছিলেন। ১৯৯১ সালে ছোটবেলার প্রেমিকা জ্যোতির সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন কেকে। নিজের সাফল্যের পিছনে বারবার স্ত্রীর অবদানের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। কপিলের শোয়ে বসেই একবার গায়ক বলেছিলেন, জীবনের সকল কঠিন সময়ে জ্যোতিকে একজন বন্ধুর মতো পাশে পেয়েছেন তিনি।