ভিলেন ছাড়া বলিউডের (Bollywood) ছবি কল্পনা করা যায় না! কারণ হিরো তখনই হিরো হবে যদি সে ভিলেন কে মাত দিতে পারে। আর বলিউড ইন্ডাস্ট্রি জনপ্রিয় ভিলেন চরিত্রের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাণ (Pran)। ক্লাসিক বলিউডের সিনেমায় তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দাগ কেটে গিয়েছে দর্শকদের মনে। অভিনেতা বর্তমানে আমাদের মধ্যে নেই। ২০১৩ সালের ১৩ই জুলাই ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন অভিনেতা। তবে তার অভিনীত ছবিগুলি আগামী ১০০ বছর ধরে সমাদৃত হবে সিনেমাপ্রেমী কাছে।
জানলে অবাক হবেন এত ভাল মানের একজন অভিনেতা শুরুতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আসতেই চাননি। অথচ বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সেরা ভিলেন চরিত্রের তালিকা তৈরি করলে আজ তার নাম আসতে বাধ্য। খলনায়কের চরিত্রে এতটাই প্রাণবন্ত অভিনয় করতেন তিনি যে তাকে দর্শকেরা বাস্তব জীবনেও ভিলেন হিসাবে দেখতে শুরু করেছিল। রাস্তায় ছবির পোস্টারে প্রাণের মুখ দেখলে জুতা মারতে তেড়ে যেত মানুষেরা। এটাই হলো একজন খলনায়ক এর সাফল্যের বাস্তব নিদর্শন।
তবে সিনেমার পর্দায় খলনায়ক হলেও বাস্তব জীবনে কিন্তু তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। আগেই বলেছি শুরুতে সিনেমায় অভিনয় করার কোন শখ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল ফটোগ্রাফির, চেয়েছিলেন’ ফটোগ্রাফার হতে। তবে ফটোগ্রাফার হিসেবে সেভাবে সাফল্য পাননি তিনি।
জানা যায় একসময় জীবন চালানোর জন্য হোটেলেও কাজ করতে হয়েছিল অভিনেতা কে। তবে একদিন সিগারেটের দোকানে তাকে সিগারেট খেতে দেখেন মোহাম্মদ ওয়ালি। তার সিগারেট খাওয়ার স্টাইল দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে তাকে সিনেমার চরিত্র অফার করেছিলেন। যেটা তিনি গ্রহণ করেন। এরপর শুরু হয় অভিনয় যাত্রা।
১৯৪২ সালে ‘খানদান’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন প্রাণ। ছবিটি সুপারহিট হয় এবং সাথে সাথেই ভাগ্য বদলে যায় অভিনেতার। হোটেলের কাজ করা বা ফটোগ্রাফি ছেড়ে বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে এগোতে থাকেন। নিজের অভিনয় ক্ষমতার জোরে যথেষ্ট সফলতা পান প্রাণ। যেমনটা জানাযায় সমকালীন অভিনেতাদের থেকে বা বলা ভাল না এর থেকেও বেশি পারিশ্রমিক নিতেন প্রাণ। অভিনয়ের দৌলতে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।