বলিউডের ঝাঁ চকচকে জীবন দেখে অনুরাগীরা সবসময়ই মনে করেন তারকাদের জীবন হয়তো একেবারে গল্পের মতো সুন্দর হয়। তাঁদের জীবনে কষ্টের লেশমাত্র থাকে না। কিন্তু কথাতেই আছে না, সবচেয়ে বেশি অন্ধকার আলো প্রদানকারী প্রদীপের নীচেই থাকে! এক্ষেত্রেও হয়তো তাই। বলিউডে এমন বহু নায়িকা (Bollywood actresses) রয়েছেন, যারা অনুরাগীদের থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেলেও, নিজের মা-বাবার (Parents) থেকে পাননি। আজ বলিউডের এমনই ৪ নায়িকার নাম এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।
রেখা (Rekha)- বলিউডের নামী অভিনেত্রী রেখার নাম এই তালিকায় রয়েছেন। বলি সুন্দরী একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর পিতা অর্থাৎ সাউথ সুপারস্টার জেমিনি গণেশন কোনোদিন তাঁকে ভালোবাসেননি। একবার এক সাক্ষাৎকারে মা-বাবার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক প্রসঙ্গে কথা বলার সময় অভিনেত্রী বলেছিলেন, মা-বাবার সঙ্গে তাঁর রোম্যান্টিক সম্পর্ক ছিল। তবে রোম্যান্সের ভরপুর সম্পর্ক কখনও সহজ হয় না। রেখার সংযোজন, তিনি কোনোদিন বাবার ভালোবাসা পাননি। কারণ তাঁর পিতার একাধিক বিয়ে এবং সন্তান ছিল। বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এখনও এই না পাওয়ার কষ্টে ভোগেন।
সারিকা (Sarika)- সাউথ ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেত্রী, কমল হাসানের প্রাক্তন স্ত্রী সারিকাও কোনোদিন বাবা-মায়ের ভালোবাসা পাননি। অভিনেত্রী যখন অনেক ছোট, তখনই তাঁর বাবা তাঁকে এবং তাঁর মা’কে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই কারণে ছোটবেলা থেকেই অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করেছিলেন সারিকা। এরপর অভিনেত্রী একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর মা নাকি একবার তাঁর আয় করা সমস্ত টাকা এবং সম্পত্তি নিজের কব্জায় নিয়ে নিয়েছিলেন।
কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)- বলিউডের ‘ধাকড় গার্ল’ কঙ্গনার নামও এই তালিকায় রয়েছে। স্পষ্টবাদী হিসেবে সুপরিচিত এই অভিনেত্রী নিজের জীবনের কঠিন সময় প্রসঙ্গেও প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। একবার সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, তাঁর মা-বাবা তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নকে একেবারেই সমর্থন করতেন না। শুধু এটুকুই নয়, এই বিষয়ে জানার পর কঙ্গনাকে নাকি তাঁরা মেরেও ছিলেন। এরপর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে কঙ্গনা মুম্বইয়ে পা রাখার পর তাঁর বাবা বেশ কয়েক বছর ওনার সঙ্গে কথা বলেননি।
আমিশা পটেল (Ameesha Patel)- ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখার আমিশার নামও এই তালিকায় রয়েছে। বলি সুন্দরী একবার প্রকাশ্যে তাঁর পিতার ওপর গুরুতর আরোপ লাগিয়েছিলেন।
আমিশা বলেছিলেন, তাঁর আয় করা অর্থের খারাপ কাজে ব্যবহার করেন তাঁর পিতা। শুধু তাই নয়, তাঁর মা-বাবা যখন তাঁর এবং বিক্রম ভাটের সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন, তখন নাকি জুতো দিয়ে অভিনেত্রীকে মেরেছিলেন।