বলিউডের (Bollywood) দাপুটে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী হলেন নীনা গুপ্তা (Neena gupta) । ৮০ এর দশকে বলিউডের অন্যধারার ছবিতে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন ও বেশ রোমাঞ্চকর, যা হার মানাতে পারে যেকোনো সিনেমার গল্পকেও।
যখন নীনা সাফল্যের শিখরে তখন তিনি সম্পর্কে জড়ান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে। কিন্তু ভিভ ছিলেন বিবাহিত, এবং কোনো মূল্যেই তিনি তাঁর স্ত্রী মরিয়মকে ডিভোর্স দিতে চাননি। ফলে নীনাকে বিয়ে করাও হয়নি ভিভের।
কিন্তু প্রেমের সম্পর্কে থাকার সময় সহবাস করেন তারা। এই সম্পর্কের ফলে গর্ভবতীও হয়ে পড়েন নীনা গুপ্তা। কিন্তু ভিভ সোজাসুজি জানিয়ে দেন, তার পক্ষে এই সন্তানকে পিতৃপরিচয় দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নীনা হাল ছাড়ার পাত্রী নন, তিনি তার প্রথম সন্তানের গর্ভপাত করাতে চাননি। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হলেও সেই সময় দাঁড়িয়ে একাই সন্তান প্রসবের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
১৯৮৯ সালে জন্ম নেয় তাঁর মেয়ে মাসাবা গুপ্তা (Masaba gupta)। জন্ম থেকে বাবার সান্নিধ্য না পেলেও বাবার পরিচয় থেকে কখনো মাসাবাকে দূরে রাখেননি নীনা। ভিভের সাথে একাধিকবার মাসাবাকে দেখা করিয়েছেন তিনি। ভিভের স্ত্রী এবং মা-ও মেনে নিয়েছিলেন এই ঘটনা।
যত ডেলিভারির দিন এগিয়ে আসছে ততই ক্রমে একলা হচ্ছিলেন অভিনেত্রী। এই সিদ্ধান্তের দরুন হাতছাড়া হয়ে যায় অসংখ্য কাজও। নীনার Bank account এ তখন পড়ে আছে মাত্র ২০০০ টাকা। অনেক কষ্টে মেয়ের জন্ম দেন নীনা।
তার জীবনের এই লড়াইয়ের কথাই তিনি তুলে ধরেছেন নীনা গুপ্তা রচিত বইয়ে। নীনা গুপ্তার এই আত্মজীবনী ‘সচ কহুঁ তো’ আগামী ১৪ই জুন প্রকাশিত হতে চলেছে। সম্প্রতি নীনার আত্মজীবনী পড়ে এইসমস্ত বিষয় জানতে পেরেছেন মাসাবা। নিজের ইনস্টাগ্রামে মায়ের আত্মজীবনীর কিছু অংশ শেয়ার করে মাসাবা লিখেছেন, ‘প্রতিদিন চেষ্টা করি পৃথিবীর বুকে মায়ের প্রাপ্য তাঁকে সুদসহ ফেরত দিতে।’ আজ মাসাবা একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার।