বলিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন কাজল (Kajol)। কোঁকড়ানো চুলের তথাকথিত শ্যাম বর্ণের মেয়েটির ১৯৯২ সালে ‘বেখুদি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে হাতেখড়ির পর থেকে আজ পর্যন্ত ঘটে গিয়েছে আমুল পরিবর্তন। প্রসঙ্গত বলিউডের বর্ষীয়ান তনুজার মেয়ে তিনি। তাই অভিনয়টা বরাবরই রক্তেই ছিল তার। তাই নিজের অভিনয় গুনেই বছরের পর মুগ্ধ করে চলেছেন দর্শকদের।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে কাজল শাহরুখ,সালমান আমির বলিউডের তিন খানদের সাথেই কাজ করেছেন চুটিয়ে।তবে আজও রূপোলি পর্দায় শাহরুখ (Shahrukh Khan) -কাজলের উপস্থিতি মাত্রেই তৈরি হয় ম্যাজিক মুমেন্ট। পর্দায় তাদের রসায়ন দেখলে আজও চোখ জুড়িয়ে যায় দর্শকদের। বিশেষ করে আমরা যারা নাইনটি’স কিড, তাদের সকলের কাছেই শাহরুখ-কাজল জুটি মানে ছোটবেলা।
আর সেই স্মৃতির অতলে ডুব দিলে প্রথমেই মনে পড়ে যায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ (Kuch Kuch Hota Hai) সিনেমার পুরনো নস্টালজিয়া। করণ জোহর (Karan Johar) পরিচালিত এই সিনেমায় রাহুল-অঞ্জলি আর টিনার ত্রিকোণ প্রেমের রসায়ন কোনোদিন ভুলবে দর্শক। কারণ এই সিনেমা সবাই এতবার দেখেছেন (পড়ুন গুলে খেয়েছেন) যে আজও সিনেমার প্রতিটা ডায়লগ থেকে গান সবটাই জলের মতো মুখস্থ হয়ে মনে রয়ে গিয়েছে সকলের।
আজ বলব এই সিনেমারই একটি গানের সাথে জড়িত অজানা একটা ঘটনার কথা। যার জেরে কার্যত স্মৃতি হারাতে বসেছিলেন খোদ সিনেমার হিরোইন কাজল। করে কুছ হোতা হ্যায় সিনেমার ‘ইয়ে লডকা হ্যায় দিওয়ানা’ গানটা মনে আছে নিশ্চয়ই? এই গানের শুটিংয়ের জন্য গোটা টিম গিয়েছিল মরিশাসে। সেখানেই সমুদ্রের ধারে একটা দৃশ্যে সাইকেল চালানোর কথা ছিল ছবির অঞ্জলি তথা কাজলের।
এই দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়েই বিপদে পড়েন অভিনেত্রী। হঠাৎই টাল সামলাতে না পেরে মুখ থুবড়ে পড়ে যান কাজল। এরপরই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় জ্ঞান ফিরলেও দেখা গেল, আশপাশের কাউকেই নাকি চিনতে পারছেন না কাজল। শুধুই কেঁদে চলেছেন নায়িকা। সেসময় বর্তমান স্বামী অজয় দেবগণের (Ajay Devgan) সাথে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন কাজল। তাই কিছু বুঝতে না পেরে শেষমশ ডেকে পাঠানো হয় তাকে। অজয়কে দেখার পরেই নাকি শান্ত হয়েছিলেন কাজল। জানা যায় প্রায় দু’ঘণ্টা স্মৃতিশক্তি ছিল না অভিনেত্রীর।