সত্তর-আশির দশকে যে সকল অভিনেত্রীরা বলিউড (Bollywood) কাঁপিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বিন্দু নানুভাই দেসাই ওরফে বিন্দু (Bindu)। নিজের প্রায় পাঁচ দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে ১৬০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। খলচরিত্রে অভিনয় করেও দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সাফল্য পেয়েছিলেন বিন্দু। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীই নিজের এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন।
১৯৬২ সালে বলিউডে পথচলা শুরু হয়েছিল বিন্দুর। যদিও কেরিয়ারের শুরুতেই সাফল্য পাননি তিনি। আস্তে আস্তে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকমহলে পরিচিতি পান অভিনেত্রী। সেই সঙ্গেই একাধিকবার দর্শকদের ভোটের নিরিখে পুরস্কারও জেতেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্যবশত চার-চারবার তাঁকে সেই পুরস্কার (Award) দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে সুপারস্টার রাজেশ খান্না, প্রেম চোপড়া এবং মুমতাহের সঙ্গে ‘দো রাস্তে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিন্দু। খলনায়িকার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অভিনেত্রী জানান, সেই সময় কোনও পুরুষ ভক্ত যদি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইতো, তাহলে তাঁদের স্ত্রীরা বাধা দিতেন। কারণ তাঁদের মনে হতো, স্বামী কথা বললেই বিন্দু তাঁকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে নেবেন।
তবে শুধু এই একটি সমস্যাই নয়, পুরস্কার নিয়েও বহুবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকারে বিন্দু বলেন, ‘দো রাস্তে’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। সেই ছবির জন্য বলিউডের এক নামী পুরস্কারের জন্যে মনোনীতও হয়েছিলেন তিনি। অধিকাংশ ভোটও পান বিন্দু। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট পুরস্কার বিতরণী সংস্থার তরফ থেকে বিন্দুকে জানানো হয়, বেশি ভোট পেলেও তাঁর কপালে পুরস্কার জুটবে না। কারণ হিসেবে বলা হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে তুমি নবাগতা অভিনেত্রী। এখনই কী করে পুরস্কার পাওয়ার আশা করছ? একথা শুনে অবাক হয়ে যান বিন্দু। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে জয়া ভাদুড়ি নবাগতা অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও পুরস্কার জিতেছিলেন। তখনও অবশ্য অমিতাভের সঙ্গে বিয়ে হয়নি তাঁর।
বিন্দু জানান, ‘দো রাস্তে’র সময়েই শুধু নয়, ‘দাস্তান’ ছবির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তিনি বেশি ভোট পেলেও তাঁকে তাঁর প্রাপ্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এরপর আরও দু’বার তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি জানতেন যে পুরস্কার পাবেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে তাঁর থেকে সেই পুরস্কার ছিনিয়ে অন্য অভিনেত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হতো। তাঁর কথায়, কাজের জন্য যদি কেউ পুরস্কৃত হয় তাহলে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। কাউকে তাঁর প্রাপ্য পুরস্কার না দেওয়া অন্যায় বলে মত বিন্দুর।