বর্তমানে ড্রাগ চক্রের জালে জড়িয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন বলিতারকারা। যদিও এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ৯০-এর দশকের তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কেরিয়ারে ঘনিয়েছে ড্রাগ মাফিয়াদের ছায়া। এখন তাঁদের অনেককেই সেভাবে দেখা যায় না পর্দায়। বিনোদনের রঙিন জগতে এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন নব্বইয়ের দশকের সেইসকল ভারত-কাঁপানো মুখ।
১. সুনীল শেট্টি
নব্বইয়ের দশকের পর্দাকাঁপানো অভিনেতাদের একজন হলেন সুনীল শেট্টি। নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে নায়ক হোক বা খলনায়ক, কমেডিয়ান হোক বা পার্শ্ব-চরিত্র – সব চরিত্রই দক্ষভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘ধড়কন’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান সুনীল শেট্টি। বর্তমানে বলিগলিতে অচেনা মুখ হয়ে পড়েছেন সুনীল শেট্টি। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, কোনো চিত্রপরিচালক তাঁকে ডাকলে তিনি অবশ্যই কাজ করবেন।
২. ববি দেওল
বলিউডের সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন হলেন ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্রর পুত্র ববি দেওল নব্বইয়ের দশকের একজন অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেতা। অজনবী, ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা, বর্ষাত-এর মত চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পরেও এখন পর্দায় তেমনভাবে দেখা যায় ববি দেওলকে। সম্প্রতি ‘হাউসফুল ৪’ ও ওয়েবসিরিজ আশ্রম-এ অভিনয় করতে দেখা গেছে ববি দেওলকে।
৩. অক্ষয় খান্না
নব্বইয়ের অভিনেতাদের মধ্যেই একজন হলেন অক্ষয় খান্না, যিনি ‘আ অব লউট চলে’ এবং ‘তাল’-এর মত চলচ্চিত্রে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক। সম্প্রতি ‘অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’, ‘সেকশন ৩৫৫’ ও ‘ইত্তেফাক’-এ তাঁর চরিত্রে মুগ্ধ হয়েছে দর্শককুল।
৪. সানি দেওল
গদর এক প্রেম কথা, বর্ডার, ঘায়েল, জাল দ্য ট্র্যাপ-এর মত নব্বই দশকের বিখ্যাত সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার পরেও আজ পর্দায় অনিয়মিত মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সানি দেওল। ‘দামিনী’-এর সেই বিখ্যাত ডায়লগ : ‘তারিখ পে তারিখ’ তো বহুল চর্চিত। যদিও ৬৩ বছরের সানি এখনও চলচ্চিত্রের মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য তৈরি, কিন্তু নতুন মুখের ভিড়ে তা একরকম অসম্ভব বলেই মনে করছেন চিত্র পরিচালকরা।