হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Bollywood) প্রথম সুপারস্টার বলা হয় রাজেশ খান্নাকে (Rajesh Khanna)। সুদর্শন এই অভিনেতার প্রেমে পাগল ছিলেন বহু মহিলা। তাঁর এক হাসিতেই ফিদা হয়ে যেতেন অনেকে। সেই রাজেশ যখন ডিম্পল কাপাডিয়াকে (Dimple Kapadia) বিয়ে করলেন তখন বহু মেয়ের মন ভেঙে গিয়েছিল। ভালোবেসে বিয়ে করলেও অবশ্য রাজেশ-ডিম্পলের সংসার সুখের হয়নি। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে মেয়ে টুইঙ্কল (Twinkle Khanna) এবং রিঙ্কিকে (Rinkee Khanna) নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন অভিনেত্রী।
রাজেশ যে সময় ডিম্পলকে বিয়ে করেছিলেন সেই সময় তিনি কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন। অনেকেই জানেন না, ডিম্পল নিজে রাজেশের বিশাল বড় ফ্যান ছিলেন। নিজের মনের মানুষের স্ত্রী হতে পেরে নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগবতী মহিলা করতেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্যবশত ডিম্পলের জীবনের এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রাজেশের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এমনকি মৃত্যুর সময় অভিনেতা নিজের সম্পত্তি থেকে কানাকড়িও দিয়ে যাননি স্ত্রীকে।
আসলে মেয়েদের নিয়ে ডিম্পল বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর রাজেশ প্রচণ্ড একা হয়ে গিয়েছিলেন। কেরিয়ার গ্রাফও আস্তে আস্তে নীচের দিকে নামতে শুরু করেছিলেন। রাজেশ খান্নাকে সরিয়ে সুপারস্টারের হিসেবে নাম করছিলেন অমিতাভ বচ্চন। কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের এই ব্যর্থতা রাজেশকে ভেতর থেকে একেবারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।
শোনা যায়, বলিউডের প্রথম সুপারস্টার ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করেছিলেন। এরপর ২০১১ সালে আচমকাই অভিনেতার শরীর ভীষণ খারাপ হতে শুরু করে। চিকিৎসকের কাছে গেলে জানতে পারেন তাঁর শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। এই সময় নাকি পরিবারের সদস্যদের কাছে পাওয়ার জন্য একেবারে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও স্ত্রী ডিম্পল এই সময় রাজেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।
স্বামীর দুঃসময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেও ডিম্পল নাকি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি রাজেশের সম্পত্তি থেকে কোনও কিছু চান না। বরং অভিনেতার সকল সম্পত্তি দুই মেয়ে টুইঙ্কল এবং রিঙ্কির নামে করে দেওয়া হোক চেয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীয়ের কথা মতো নিজের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি দুই মেয়ের মধ্যে ভাগ করে দেন অভিনেতা।
শোনা যায়, জীবনের শেষ দিনগুলোয় রাজেশ চাইতেন দুই মেয়ে তাঁর সঙ্গে থাকুক। কিন্তু টুইঙ্কল সেই সময় গর্ভবতী ছিলেন। সেই জন্য বাবার কাছে বেশি যেতে পারতেন না। তবে রিঙ্কি সর্বক্ষণ বাবার সঙ্গে থাকতেন। রিঙ্কির জন্মের পর রাজেশ খান্না ৬ মাস তাঁর মুখ না দেখলেও, বাবার অন্তিম সময়ে মেয়ে কিন্তু তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখেননি।