বাঙালির বিনোদনের ডেলিডোজ মানেই মেগা সিরিয়াল। তাই সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে অবসর মিলতেই পছন্দের সিরিয়াল দেখতে বসে যান কমবেশি সকলেই। আর এখন তো সিরিয়াল দেখা দর্শকদের রোজকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সারাদিনে পছন্দের চরিত্রদের না দেখা পর্যন্ত গোটা দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় দর্শকদের।
সময়ের সাথে সাথে এখন বদলেছে দর্শকদের সিরিয়াল দেখার রুচি। তাই দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দিনে দিনে সিরিয়ালের বিষয় বস্তুতেও আসছে আমূল পরিবর্তন। তাই সাংসারিক কূটকচালি কিংবা পরকীয়া নয় দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে এখনকার দিনে বেশিরভাগ সিরিয়ালেই জোর দেওয়া হচ্ছে নিত্যনতুন কন্টেন্টের ওপর। তেমনি চলতি মাসের শুরুতেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন সিরিয়াল ‘বোধিসত্ত্বের বোধ বুদ্ধি’ (Bodhiswatter bodh Budhi)।
একেবারে অন্য স্বাদের এই সিরিয়ালের প্রধান চরিত্রই ছোট্টো বোধিস্বত্ত অর্থাৎ সকলের প্রিয় বোধি। যার নিত্য নতুন বোধ বুদ্ধির জেরে একেবারে নাজেহাল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে বাড়ির সদস্যরাও।আসলে এই সিরিয়ালের হাত ধরেই অনেকদিন পর টিভির পর্দায় বাংলার দর্শকদের জন্য শুরু হয়েছে বাচ্চাদের সিরিয়াল।
খুবই অল্প দিনেই বোধিসত্ত্ব অভিনেতা রায়ান গুহ নিয়োগীর (Rayan Guha Niyogi) অভিনয় মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। তাই শুরু থেকেই দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে পর্দার এই ছোট্ট জ্ঞানের ভান্ডার। তবে সমস্যা একটাই। এই সিরিয়ালের সম্প্রচারের সময়। আসলে এই সিরিয়ালটি জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হয় রাত ১০ টা থেকে। আর এত রাতে সিরিয়াল দেখা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়না। তাই সকলেই বারবার বলছেন এই সিরিয়াল সম্প্রচারের সময়টা যাতে একটু এগিয়ে আনা হয়.
প্রসঙ্গত এরই মধ্যে এসে গিয়েছে সিরিয়ালের নতুন প্রোমো। এই প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে বোধির নতুন স্কুলের ক্লাসমেট সৃজিতা এসেছে বোধিসত্ত্বের বাড়িতে। আর তাকে বাড়ির সবাই মিলে খুব আদর যত্ন করছে। সেই দেখে রেগে লাল হয়ে গিয়েছে ছোট্টো বোধি। রাগের সে ঠিক করে নেয় এই বাড়িতে সে আর থাকবে না।
তাই জামাকাপড় গুছিয়ে নিয়ে সে ঠিক করে নেয় নিজের বাড়ি বানিয়ে থাকবে। এরপর নিজেই ভ্যান চালিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে বোধি। কিন্তু রাস্তায় ছেলেধরার মতো দেখতে একজন তার পথ আটকে বলে ওঠে ‘কোথায় যাচ্ছ’? তখন রাস্তায় থাকা ছেলেধরাদের কথা মনে পড়তেই মা বলেই দৌড় দেয় বোধি।