সারাদিনের ব্যস্ততা সামলে পছন্দের সিরিয়াল দেখা দর্শকদের রোজকারের অভ্যাস। তাই দিনভর যে যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই হাতের সমস্ত কাজ ছেড়ে পছন্দের টিভি সিরিয়াল দেখতেই কম বেশি সবাই বসে যান টিভির সামনে। এখনকার দিনে দর্শকমহলে বেড়েছে সিরিয়ালের চাহিদা তাই সপ্তাহে আর পাঁচ দিন নয় বরং গোটা সপ্তাহ জুড়ে একের পর এক বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলোতে চলে সিরিয়ালের মেলা।
এখনকার বেশিরভাগ বাংলা সিরিয়ালেই দেখা যায় সাংসারিক কূটকচালি কিংবা পরকিয়া। বাচ্চাদের নিয়ে ইদানিং সিরিয়াল প্রায় তৈরি হয় না বললেই চলে। তাই এইদিক থেকেই একেবারে আলাদা জি বাংলার ‘বোধিসত্তের বোধ বুদ্ধি’ (Bodhisatter Bodh Budhi) সিরিয়াল। এই সিরিয়ালে বাচ্চা বোধিসত্ত্ব (Bodhisatta) হল জ্ঞানের আধার। তার জ্ঞান বুদ্ধির প্রশ্নে নাজেহাল বাড়ির লোক থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষকরাও।
ইতিমধ্যেই নিজের এই অতিরিক্ত জ্ঞানের বহরের কারণে একটি স্কুল থেকে সে টিসি পেয়েছে। এই সিরিয়ালে যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন এখন বোধি ভর্তি হয়েছে একটি নতুন স্কুলে। কিন্তু সেখানে তার মেধা আর বোধ বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে প্রথম এডমিশন টেস্টেই শিক্ষকরা তাকে ক্লাস ফোর থেকে সোজা ক্লাস সেভেনে তুলে দিয়েছেন।
সেখানেই তার ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল সৃজিতা (Srijita)। আর তার সাথেই পড়াশোনা নিয়ে সারাক্ষন কম্পিটিশন বোধির। তাই প্রথম দিন থেকেই তাকে একেবারেই পছন্দ নয় বোধির। এরই মধ্যে সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে সৃজিতার জন্মদিনের পার্টিতে স্কুলের অন্যান্য ছেলেমেয়েদের মত আমন্ত্রিত ছিল বোধি। কিন্তু তার প্ল্যান ছিল যেকোন ভাবে সৃজিতাকে এমন একটা গিফট দেওয়া যাতে সৃজিতার মনে হয় সে বোধির থেকে পিছিয়ে।
এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে সৃজিতা যখন ক্লাস টু তে পড়তো তখনই তার বাবা মারা যায়। তাই সে বছর সে ফেল করেছিল। আর আসল কারণ না জেনেই সকলের সামনে বোধি সৃজিতাকে ‘ক্লাস টু ফেলু’ বলে খ্যাপাতে থাকে। সৃজিত সত্যিটা বললেও কান চাপা দিয়ে রাখায় তা শুনতে পাইনি বোধি। আর না শুনেই বোধি একনাগাড়ে সৃজিতাকে ‘ক্লাস টু ফেলু’ বলে খ্যাপাতে থাকে।
এসব শুনে প্রচন্ড কষ্ট পায় সৃজিতা। মেয়েকে কষ্টে দেখে দেখে সৃজিতার মাও ভীষণ রেগে যায়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত বোধির মা এসে বোধির গালে একটা চড় (Slap) কষিয়ে দেয়।এই পর্বের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখে দর্শকরা কেউ বলেছেন ‘চড়টা অনেকদিন আগেই মারা উচিত ছিল’। আবার অনেকে বলছেন ‘পশ্চাদ দেশ পক্ক বাচ্চা’। কেউ বলেছেন ‘চড় মেরে ঠিক কাজ করেছে’, এমনই নানা মন্তব্য। আবার একজন লিখেছেন ‘পড়াশোনায় ভালো হলেই কাউকে কখনো এভাবে অপমান করে ফেলু বলে না’।