বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty) এবং বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee)। দু’জনেই নিজেদের অভিনয়ের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিকে সমৃদ্ধ করেছেন, জয় করেছেন দর্শকমন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে (Interview) টলিপাড়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলনায়ক একহাত নেন ‘ফেলুদা’ সব্যসাচীকে। অভিনেতাকে ‘পাল্টিবাজ’, ‘যন্তর জিনিস’এর মতো তকমাও দেন তিনি।
মাস খানেক আগে অভিনয় দুনিয়া থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন সব্যসাচী। পর্দার ‘ফেলুদা’ জানান, তিনি আর অভিনয় করবেন না। যদিও সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সব্যসাচী বলেন, অবসর নেওয়ার স্টেটমেন্টটা খানিক জোর করেই বলানো হয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি এও জানান, কোনও পরিচালক যদি তাঁর মধ্যেকার অভিনয়ের খিদেটা আবার জাগিয়ে তুলতে পারেন তিনি নিশ্চয়ই রুপোলি পর্দায় ফিরবেন।
অপরদিকে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় এমন একজন মানুষ যিনি বরাবরই স্পষ্টবাদী হিসেবে পরিচিত। ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, তাঁর অনুরাগীরাও তাঁকে ঠোঁটকাটা স্বভাবের মানুষ হিসেবেই চেনেন। উচিত কথা মুখের ওপর বলতে একেবারেই ভয় পান না তিনি। অনেক সময় সেই কারণে বিপ্লবের নানান মন্তব্য বিতর্কের জন্মও দিয়েছে।
অতীতে বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন বিপ্লব। কখনও বলেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে গুলি করা উচিত, কখনও আবার বলেছেন টলি অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষার অভাব রয়েছে। সম্প্রতি আবার এক সাক্ষাৎকারে (Biplab Chatterjee interview) সব্যসাচীকে ‘হিপোক্রিট’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। যে শব্দটির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘পাল্টিবাজ’।
কিছু সময় আগেই অভিনয় দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন সব্যসাচী। সেই প্রসঙ্গে বিপ্লবকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, পর্দার ‘ফেলুদা’ নাকি ‘হিপোক্রিট’ মানুষ। তিনি ‘পাল্টিবাজ’। এক এক জায়গায় এক এক রকমের মানুষ তিনি।
এখানেই থামেননি টলিপাড়ার একসময়কার এই নামী ভিলেন। তাঁর সংযোজন, ‘ও একটা যন্তর জিনিস’। এমনকি এই বিষয়ে দু’টি ঘটনার উল্লেখও করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। পাশাপাশি এই জানান, পর্দায় যত অভিনেতাই ‘ফেলুদা’র চরিত্রে অভিনয় করুক না কেন তিনি কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে ‘ফেলুদা’ মনে করেন না।