গতকালই প্রয়াত হয়েছেন বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumder)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১বছর। প্রসঙ্গত বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পরিচালক। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে গতকালই কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক। কিন্তু কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু নেই, তিনি অমর থাকেন তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।
একই কথা খাটে প্রয়াত তরুণ মজুমদারের ক্ষেত্রেও। প্রসঙ্গত তরুণ মজুমদার ছিলেন এমন ছিলেন এমন একজন পরিচালক যিনি শুধু সিনেমাই তৈরি করেননি। সেই সাথে তাঁর জহরীর চোখেই আবিষ্কার হয়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একাধিক জনপ্রিয় সব অভিনেতা, অভিনেতা, অভিনেত্রী। দেবশ্রী, মৌসুমী, মহুয়া, ঋতুপর্ণা, শতাব্দী ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় খলনায়ক বিপ্লব চ্যাটার্জী (Biplab Chatterjee)।
তাই এই বর্ষীয়ান অভিনেতার কাছে পরিচালক তরুণ মজুমদার হলেন তাঁর অভিনয় শিক্ষার গুরু। শুধু তাই নয়, বর্ষীয়ান এই অভিনেতার কথায় তরুণ মজুমদার দারুণ ভাল একজন মানুষ। সংযত কথা বলার পাশাপাশি ছিল, মার্জিত ব্যবহার। বরাবরই সবার সাথে আপনি -আজ্ঞে করে কথা বলতেন, তা সে যেই হোক না কেন।
প্রসঙ্গত বর্তমান প্রজন্মের প্রতি বিশেষ অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত কলাকুশলীদের প্রতি অদ্ভুত এক বিতৃষ্ণা লক্ষ্য করা যার আগেকার শিল্পী দের। একথা আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জী। আর এদিন তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর পর আরও একবার সেই ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন ‘তরুণ মজুমদারের ছবি একটু ধীর গতির হলেও তাতে থাকতো নিটোল গল্প থাকত। কিন্তু আজকের প্রজন্ম তাঁর তৈরি ছবি কতটা দেখে তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে’।সেইসাথে অভিনেতার আরো সংযোজন ‘পরিবেশ বদলেছে,প্রজন্ম বদলেছে।তাই এখনকার সময়ের সাথে ওনার মতো পরিচালকের মানিয়ে নিতে কষ্টই হতো’।
সেইসাথে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ এনে অভিনেতা দাবি করে বসেন, এখনকার দিনে যাঁরা ছবি করছেন তাঁরা না জেনেই কাজ করছেন। প্রোডিউসার জোগাড় করে যাই হোক করে ছবি করছেন। এরপরেই তরুণ মজুমদারের প্রসঙ্গ টেনে অভিনেতা বলেন উনি কাজটা জেনে করতেন। তাই অভিনেতা মনে করেন তরুণ মজুমদার, যে পদ্ধতিতে কাজ করতেন, সেই প্রতিভা এখনই অন্য কারও দেখা যায় না। বিপ্লবের কথায় শিল্পীদের সম্মান দিতে জানতেন তিনি।