নতুন পুরোনোর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। নবীন প্রবীণের এই সংঘাত সর্বক্ষেত্রেই প্রকট। পুরোনো দিনের মানুষেরা আজও অনেকক্ষেত্রেই নতুনদের আইডিয়া বা কাজকর্মকে মানতে পারেননা। সে ঘরে হোক বা বাইরে, ইন্ডাস্ট্রি হোক বা গানের জগৎ। টলিউডেও এই ভেদাভেদ একদম প্রকট। বর্ষীয়ান অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরাই এযুগের অভিনেতা অভিনেত্রীদের মানতে পারেননা।
তাদের চোখে উত্তম (Uttam kumar) সুচিত্রা, সৌমিত্র (soumitra Chatterjee) অপর্ণারাই সেরা। যদিও অনেক প্রবীণ অভিনেতারাই একথা মনে করলেও প্রকাশ্যে তারা ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলেন। কিন্তু অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জি (Biplab chatterjee) বরাবরই ঠোঁট কাটা স্বভাবের। আশি নব্বইয়ের দশকে এক চেটিয়া খল নায়কের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি।
সত্যজিৎ রায়ের পরিচালিত প্রতিদ্বন্দী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। চলচ্চিত্রের তিনি সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিনয় করে থাকেন। ১৯৯৯ সালে তিনি রাজবেহারি আসন এবং ২০০৬ সালে আলিপুর আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন।
তিনি একাধিকবার স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনিই একবার উপস্থিত হয়েছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত জি বাংলার একটি জনপ্রিয় টক শো “অপুর সংসার”-এ। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, এই প্রজন্মের কলাকুশলীদের মধ্যে নায়ক হওয়ার কোনো যোগ্যতাই নেই।
তাঁর দাবি, ভিতরে ব্যথা না থাকলে কোনো চরিত্রই পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। আর সমকালীন অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে সেই দরদ লক্ষ্য করেননা। তাই বর্তমান প্রজন্মের নায়কদের যোগ্যতা নিয়ে ওপেন ফোরামেই প্রশ্ন তুলেছেন বিপ্লব চ্যাটার্জী।