নতুন পুরোনোর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। নবীন প্রবীণের এই সংঘাত সর্বক্ষেত্রেই প্রকট। পুরোনো দিনের মানুষেরা আজও অনেকক্ষেত্রেই নতুনদের আইডিয়া বা কাজকর্মকে মানতে পারেননা। সে ঘরে হোক বা বাইরে, ইন্ডাস্ট্রি হোক বা গানের জগৎ। টলিউডেও এই ভেদাভেদ একদম প্রকট। বর্ষীয়ান অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরাই এযুগের অভিনেতা অভিনেত্রীদের মানতে পারেননা।
তাদের চোখে উত্তম সুচিত্রা, সৌমিত্র অপর্ণারাই সেরা। যদিও অনেক প্রবীণ অভিনেতারাই একথা মনে করলেও প্রকাশ্যে তারা ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলেন। কিন্তু অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জি (Biplab Chatterjee) বরাবরই ঠোঁট কাটা স্বভাবের। সত্যি কথা বলার ধক তার বরাবরই আছে। কোনো রাখঢাক রাখতে পছন্দ করেননা তিনি। অভিনেতা অভিনেত্রীরা থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের প্রযোজকরা পর্যন্ত এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে সমঝে চলেন।
অভিনেতার যে এই প্রজন্মের কাজ নিয়ে বেশ অ্যালার্জি রয়েছে তা আমরা আগেও বুঝেছি। তাই সুযোগ পেলেই এ প্রজন্মের উঠতি নায়ক নায়কিদের ভালো করে ধুয়ে দেন অভিনেতা। এবারেও তার অন্যথা হল না। আসলে এই মুহুর্তে ধারাবাহিকের রমরমা অবিশ্বাস্য। এমনকি এখনকার প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা অভিনেত্রীদের শুরুটাও হয় ধারাবাহিক থেকেই।
সম্প্রতি জনৈক এক ধারাবাহিকের নায়কের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মত প্রকাশ করে বিপ্লব বাবু জানিয়েছিলেন, “এখনকার অভিনেতারা দুএকটা কাজ করেই গাড়ি কিনে নেয়, কিন্তু পরে আর এএমআই দেওয়ার টাকা কুলোয় না। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর সিনেমা করার পর একটা ঝরঝরে গাড়ি কিনতে পেরেছিলাম, তাও আবার সেকেন্ড হ্যান্ড। তুমি নতুন গাড়িটা কিনতে গেলে কোন সাহসে? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনিশ্চয়তার জায়গা একটা।”
এইকথায় তার বিরক্তি ঝরে পড়তে দেখা যায়। এমনকি মধ্যবিত্ত জীবন যাপনও এক্কেবারে না পসন্দ অভিনেতার। তাই ধারাবাহিক তার কাছে মাথামুন্ডুহীন, সিরিয়াল দেখে নিজের সময় নষ্ট না করাকেই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি। তিনি মনে করেন এখনকার অভিনেতাদের আর কিছু থাকুক আর না থাকুক বড়লোকি চালটা রয়েছে।