দর্শকদের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো এর তালিকায় বহুবছর ধরে রয়েছে কালার্স টিভির বিগবস (Big Boss)। দেখতে দেখতে ১৫তম সিজেন চলছে এই রিয়্যালিটি শোটির। বলিউডের ভাইজান সালমান খান (Salman Khan) থাকেন এই শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে। যে কারণে প্রতিবছর বেড়েই চলেছে জনপ্রিয়তা। বিগবসের ঘর থেকে দর্শকদের সরাসরি দেখানো হয় প্রতিযোগীদের কান্ড কারখানা। কিন্তু জানেন কি এই বিগবসের ঘরে রয়েছে নোংরা কিছু টপ সিক্রেট (Hidden Secrets)! যেটা কখনোই দর্শকদের সামনে আসে না।
সালটা ২০০৬, রিয়্যালিটি শো হিসাবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে বিগবস। তবে প্রথম বিগ বসে ছিলেন না সালমান খান। সেই সময় সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিল এরশাদ ওয়ার্শির কাছে। তবে এরপর থেকে সালমান খানকেও দায়িত্ব দেওয়া হয় সঞ্চালনার। এবার আসা যাক বিগবসের ঘরের গোপন তথ্যগুলির সম্পর্কে।
বিগবসের প্রতিযোগীদের ক্যামেরায় কখনোই ধূমপান করেন না। তবে আসলে যে তারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন না তা কিন্তু একেবারেই নয়। ক্যামেরার আড়ালে ঠিকই চলে ধূমপানের জায়গা। আর মদ খাওয়া সরাসরি দেখানো না হলেও চাইলে প্রতিযোগীরা সর্বদাই মদ খেতে পারেন। ফলের রস বা কোল্ড ড্রিঙ্কের মধ্যে মিশিয়ে দিব্যি চলে মদ খাওয়া।
বিগ বসের ঘরে যেমন মদ্যপান বা ধূমপান নিষিদ্ধ নয় তেমনি নিষিদ্ধ নয় একেঅপরের সাথে অন্তরঙ্গতাও নিষিদ্ধ নয়। যেহেতু এটিকে ফ্যামিলি প্রোগ্রাম বলা হয় তাই কোনো ধরণের অন্তরঙ্গতা ও স্ক্রিনে দেখানো যায় না। তবে প্রতিযোগীরা চাইলে একেঅপরের সাথে অন্তরঙ্গতায় মেতে উঠতেই পারেন। এর জন্য বাথরুমে চলে গেলেই হয়। কারণ বাথরুমে কোনো ক্যামেরা লাগানো থাকে না।
বিগবসের ১৫ তম সিজেনেই উরফি জাভেদ একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর মতে, বিশ্বাসের ঘরে ক্যামেরার সামনেই যৌন সঙ্গম হয়ে গিয়েছে। যদিও সেটা দর্শকদের দেখানো হয়েছে কি না সেটা তার জানা নেই। তবে তিনি সত্যিই বলছেন। এমনটাই উরফি জাভেদকে বলতে শোনা গিয়েছে।
https://twitter.com/bb_live_feeds/status/1426519804513456134
অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে কিভাবে সব প্রতিযোগীদের ওপর নজরদারি চালানো হয় বা কোথায় ক্যামেরা থাকে বিগবসের ঘরে? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিগবসের ঘরের আয়নাগুলির মধ্যে। আয়নার পিছনেই লুকিয়ে থাকে ক্যামেরাগুলো যা প্রতিযোগীদের সর্বদা রেকর্ড করতে থাকে।
বিগবস খেলার জন্য বা প্রতিযোগী হবার জন্য মোটা অংকের টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। কেউ সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নিজেদের পারিশ্রমিক নেন তো কেউ আবার একেবারে সিজেন শেষ হলে পুরো পারিশ্রমিক নেন। উদাহরণ স্বরূপ বিগবস প্রতিযোগী রেশমি দেশাই প্রতি সপ্তাহে ১৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন। অন্যদিকে রিমি সেন সিজেনের শেষে একেবারে ২ কোটি টাকা পেয়েছেন।
বিগবসে টিআরপি আসল জিনিস। তাই প্রতিযোগীদের দিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের টাস্ক করানো হয়। আর দর্শকদের মতে যে প্রতিযোগী বেশ ভোট পায় সেই শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে বিজেতা হয়। আর যারা কম ভোট পায় তারা বাদ পরে যায়। তবে প্রতিযোগীরা চাইলে আগে শো ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন না। যদি সেটা করেন তাহলে চুক্তি ভঙ্গ হয়, যার ফলে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে তাদের।