রাজ্যে ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর থেকে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। বিজেপি তৃণমূল বা বাম শিবির সকলেই ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন ভোট গোছাতে। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে আব্বাস সিদ্দিকির উপস্থিতি অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দল, গেরুয়া শিবির উভয়কেই। এমতাবস্থায়, আগামী ৭ই মার্চ রাজ্যে ব্রিগেড সমাবেশের কথা চিন্তা করছে বিজেপি।
এবারের নির্বাচন যে অন্যবারের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রতিটা দলেই ভিড়েছেন বিনোদন জগতের তাবড়-তাবড় তারকারা। তৃণমূলে রাজ চক্রবর্তী, মিমি, নুসরত, জুন মালিয়া যোগ দিয়েছেন তো এর পাল্টা বিজেপিকে শক্তপোক্ত করেছেন যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, রুদ্রনীল ঘোষের মত তারকারা।
এই পরিস্থিতিতে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ক্রিকেটের মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলি (sourav ganguly) নাকি যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে (BJP)। কিন্তু গত কয়েকদিনে দুইবার হৃদজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে তারপরেই এই জল্পনা খানিকটা ধামাচাপা পড়ে যায়।
শোনা যাচ্ছে ৭ই মার্চ গেরুয়া শিবিরের ব্রিগেডে নাকি উপস্থিত থাকতে পারেন সৌরভ গাঙ্গুলি। মমতা ব্যানার্জির বিপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবেও বিজেপির হয়ে দাঁড়াতে পারেন প্রাক্তন অধিনায়ক। এবার এই পরিস্থিতিতে নিজেই মুখ খুললেন মহারাজ।
সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহলের সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের সেফ সিট থেকে সৌরভকে জিতিয়ে এনে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে বসাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা সৌরভ সবিনয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, আমি খেলার জগতের মানুষ। খেলার মাঠেই থাকতে চাই। সৌরভকে পেতে সক্রিয় হয়েছিল তৃণমূলও। কিন্তু তা হয়নি।
বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার আগে অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের বৈঠক তাঁর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা জোরালো করে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিগ্রেডের মঞ্চেই বিজেপিতে যোগ দেবেন বাংলার আইকন? যদিও সৌরভ অল্পকথায় এসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, “না – না “। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা ক্রিকেটের মহারাজা কী ক্রিজ ছেড়ে সত্যি সত্যিই নামবেন রাজনীতির ময়দানে!