একটি ছবি তৈরিতে একজন প্রযোজকের কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়। আশা করেন, ছবি মুক্তির পর সেই টাকা ঘরে তুলতে পারবেন তিনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনটা হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রযোজকের সমস্ত টাকা ডুবে যায়। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন উদাহরণ বহু রয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতেও বহু বিগ বাজেট (Big Budget) বলিউড সিনেমা (Bollywood cinema) বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আজ এমনই ৫টি সিনেমার নাম এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।
শামশেরা (Shamshera)- ‘সঞ্জু’র পর এই ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় কামব্যাক করেছেন রণবীর কাপুর। ঋষি পুত্রের এই ছবি তৈরিতে কয়েকশো কোটি টাকা ঢেলেছে যশ রাজ ফিল্মস। আশা করা হচ্ছিল, রণবীর, সঞ্জয় দত্ত, বানী কাপুর অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ এবং দর্শকদের মতে, চলতি বছরের অন্যতম জঘন্য সিনেমা হতে চলেছে এটি।
সম্রাট পৃথ্বীরাজ (Samrat Prithviraj)- অক্ষয় কুমার অভিনীত এই ছবি নিয়েও দর্শকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে ছিল। এই ছবির হাত ধরেই আবার বলিউডে পা রেখেছেন মানুষী চিল্লার। সব মিলিয়ে একেবারে জমজমাট প্যাকেজ। তবে কোথায় কী! বক্স অফিসে চরম ব্যর্থ হয় ছবিটি। মাত্র ৬৮.০৫ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছে ‘খিলাড়ি’র এই সিনেমা।
রানওয়ে ৩৪ (Runway 34)- একই ছবিতে বলিউডের দুই সুপারস্টার। ‘রানওয়ে ৩৪’এ একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন এবং অজয় দেবগণকে। ঈদের মতো দিনে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। তবে তাও বক্স অফিসে ঝড় তুলতে পারেনি এই সিনেমা। মাত্র ৩২.৯৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এই ছবিটি।
হিরোপন্তি ২ (Heropanti 2)- ‘হিরোপন্তি’ দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন জ্যাকি শ্রফের পুত্র টাইগার শ্রফ। বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছিলেন ছবিটি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি বছর মুক্তি পায় ছবিটির সিক্যুয়েল। অভিনয়ে সেই টাইগার এবং সঙ্গীত পরিচালনায় এ.আর.রহমান। আর কী চাই দর্শকদের! কিন্তু তাও ছবিটি চরম ফ্লপ হয়েছিল। মাত্র ২৪.৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা।
ধাকড় (Dhaakad)- চলতি বছরের অন্যতম ফ্লপ সিনেমাগুলির মধ্যে একটি কঙ্গনা রানাউতের ‘ধাকড়’। বক্স অফিসে ঝড় তোলা তো দূরে থাক, ছবি তৈরির জন্য যে টাকা খরচ হয়েছিল, সেটিও ঘরে তুলতে পারেনি এই সিনেমা।
৮৫ কোটি টাকার বাজেটের এই সিনেমা মাত্র ২.৫৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।