স্বস্তির দিন শেষ। প্রথম প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মারণ ভাইরাস করোনা (Corona pandemic) । লাগামছাড়া হারে বাড়ছে সংক্রমণ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আগের বারের থেকেও ভয়াবহ এবারের পরিস্থিতি। সারাদেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অক্সিজেনের (Oxygen) আকাল, বেডের জন্য চলছে হাহাকার৷
অবশেষে এহেন সঙ্কোট মোকাবিলায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। রাজ্য গুলিকে ইতিমধ্যেই কড়া নির্দেশিকা পাঠানো শুরু হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷ এবার সেই চিঠি এসে পৌঁছালো পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) নবান্নর দফতরে।
গত দুমাস যাবত পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের তোরজোর। চলছে দেদার প্রচার, সভা, সমিতি, মিটিং, মিছিলও। হাজার হাজার লোক করোনাকে ভুলে রীতিমতো মেতে উঠেছিলেন ‘ভোট উৎসবে’। এবার তাদের শায়েস্তা করতেই কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লার সেই চিঠিতে রাজ্য গুলিকে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে স্পষ্ট কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, বড় জমায়েত করা যাবেনা, গণপরিবহনে কমাতে হবে যাত্রীর সংখ্যা, প্রয়োজনে জারি করতে হবে নাইট জার্ফুও।
বলা হয়েছে কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির কথাও। এই কন্টেনমেন্ট জোন গুলিতে বিয়ের অনুষ্ঠান এবং শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যথাক্রমে ৫০ এবং ২০ জনের জমায়েতের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরণের সমাবেশ এই কন্টেনমেন্ট জোন গুলিতে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চালু এবং করোনা বিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৪২ জন। পাশাপাশি শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার হয়েছেন ৬৮ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে রেকর্ড ছাড়িয়ে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল সাড়ে তিন লক্ষের কোটায়।