একবার যদি কপাল খুলে যায় তাহলে আর দেখে কে! এই কথাটা অনেকেই শুনেছেন আবার বাস্তবে ফলতেও দেখেছেন অনেকেই। যেমন রানাঘাটের রানু মন্ডল থেকে বীরভূমের দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। গানের জেরেই কপাল খুলে গেছে ভুবনবাবুর, সামান্য বাদাম বিক্রেতা থেকে ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গানের জেরে তিনি আজ বিশ্ববিখ্যাত লক্ষ টাকার শিল্পীতে পরিণত হয়েছেন।
আসলে নেটপাড়ায় কখন যে কে ভাইরাল হয়ে পরে সেটা বলতে পারা বেশ মুশকিল। তাই তো বাদাম বিক্রির জন্য বাঁধা গণি লোকের পছন্দ হতেই ব্যাপক খ্যাতি ও টাকাও পেয়ে গিয়েছেন ভুবনবাবু। ‘কাঁচা বাদাম’ গানের জন্যই মোট ৩ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। এরপর আরও একাধিক মিউজিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে তাকে। এছাড়াও গান গাওয়ার জন্যও ডাক পেয়েছেন বিভিন্ন জায়গা থেকেই।
শুধু তাই নয় ভাঙাচোরা কুঁড়ে ঘর ছেড়ে স্বপ্নের দোতলা বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন ভুবনবাবু। যার অন্দরমহল দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে যে কারোর। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন বাদামকাকু। সেখানে প্রতিনিয়ত ভিডিও শেয়ার করে নেন লক্ষ লক্ষ অনুগামীদের সাথে। দৈনিন্দিন কাজকর্ম থেকে গান বা নানা ঘটনার কথা শেয়ার করেন সকলের সাথে। সাথে ভিডিও থেকে বেশ মোটা টাকা রোজগারও হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই ইউটিউব থেকে সিলভার প্লে বাটন পেয়ে গিয়েছেন ভুবনবাবু। আর এবার স্বপ্নের বাড়িতে উপার্জনের টাকা সুরক্ষিত রাখার জন্য সিন্ধুকের ব্যবস্থাও করে ফেলেছেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই সিন্ধুকের ভিডিও শেয়ার করে সকলকে দেখালেন তিনি।
তবে এই সিন্ধুক বা লকারের জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি তাঁকে। খড়্গপুরের এক ব্যবসায়ী এই লোকের উপহার স্বরূপ দিয়েছেন ভুবন বাদ্যকরকে। ভুবনবাবুর বাড়ি হওয়ার সময়েই তিনি কথা দিয়েছিলেন লকার দেবেন, সেই কথা রাখলেনও তিনি। একেবারে জব্বর কোয়ালিটির একটি লোকের উপহার হিসাবে পাঠালেন বাদামকাকুর বাড়িতে। সাথে ব্যবসায়ী নিজেও হাজির হয়েছিলেন।
লকারে শুধু চাবি নয় সাহতে নাম্বার লক রয়েছে। এই লকারের মধ্যে মূল্যবান সম্পদ ও টাকাকড়ি রাখ্খবেন ভুবনবাবু। তবে ভিডিওতে কিন্তু লকার ফাঁকাই দেখা যাচ্ছে। লকার পাওয়ার পর নিজের বিখ্যাত গান ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়ে শুনিয়েছেন তিনি। সাথে অনুরোধ করেছেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করে পাশা থাকার জন্য।