সুন্দর ঘন লম্বা চুল (beautyful long and thick hair) পাওয়া প্রতিটি মেয়েরই ইচ্ছা। কিন্তু খুব কম জনেরই এই সৌভাগ্য হয়ে থাকে আজকালকার দিনে। একে দূষণ তার ওপর নানান কেমিক্যালের ব্যবহারের ফলে দিন দিন চুলের বারোটা বেজে যাচ্ছে। যার কারণে অনেকেই নিজের চুল নিয়ে বেশ চিন্তিত। চুলের নানান সমস্যা (hair problems) রোধের জন্য ও চুলের বৃদ্ধির জন্য কাঁড়িকাঁড়ি টাকাও খরচ করছেন অনেকেই। কিন্তু টাকা খরচ করেও ফলাফল সেই একই। এবার এই সমস্যার সমাধান নিয়েই হাজির বংট্রেন্ড।
সকলেই জানি যে চুলের জন্য তেল (oil) ভীষণ উপকারী। চুলের সঠিক যত্ন নিতে হলে শ্যাম্পু কন্ডিশনারের মত তেলেরও (hair oil) প্রয়োজন। অন্ততপক্ষে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তেল দিয়ে মালিশ তো করা উচিত। কিন্তু অনেকেই সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারেন না কোন তেল ব্যবহার করা উচিত। তেলের ব্যবহারের ওপরেও চুলের বৃদ্ধি নির্ভর করে। কিছু তেলে চুল ঘন হয় তো কিছু তেল চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলে। এবার এই ধরণের কিছু তেলের তালিকাই দেখে নেব।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল (Lavender Essential Oil)
এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তবে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মূলত অকালে চুল পড়া রোধ, বা চুলের বৃদ্ধির ব্যাঘাত জনিত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি চুলের বৃদ্ধি করতে চান তাহলে রাতে শুতে যাবার আগে নারকেল তেলের সাথে দু এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ভালো করে চুলে ম্যাসাজ করে নিন। এতে আপনার চুলে যেমন পুষ্টি হবে তেমনি একটি সুন্দর সুগন্ধও তৈরী হবে।
ক্যাস্টর অয়েল (Castor Oil)
ক্যাস্টর অয়েল সন্মন্ধে হয়তো অনেকেই জেনে থাকতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ করতে বা পাতলা চুল ঘন করতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হয়। আপনিও চাইলে নারকেল ও অলিভ তেলের সাথে মিশিয়ে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারকরতে পারেন। এটি ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০-৩০ মিনিট মত অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তাহলেই হবে।
পেঁয়াজের তেল (Onion Oil)
পেঁয়াজের গুণ সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল। এই পেঁয়াজের তেল যদি নিয়মিত ব্যবহার করা যায় তাহলে চুলের অনেক সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটি মূলত রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চুলের গোড়ায় ভালো ভাবে লাগাতে হয়। এই তেল ব্যবহারের ফলে চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। আপনি চাইলে এই তেল নারকেল তেলের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।