ফল আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। আম, জ্যাম, কাঁঠাল কত সুস্বাদু ফলই না আছে আমাদের জন্য। কিন্তু জানেন কি এমন কিছু ফল আছে যার রয়েছে দারুন ক্ষমতা। অনেক কঠিন রোগ সেরে যেতে পারে কিছু ফল নিয়মিত খেলে। আর একটি এমন ফলও রয়েছে যা খেলে একসাথে ৮ টি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই। এই ফলটি হল আতা (custard apple)।
বিভিন্ন জায়গায় আতাকে বিভিন্ন নাম চেনে লোকজন। কেউ চেনে সুগার আপেল বলে তো আবার কেউ চেনে সুগার পাইন আপেল বলে। তবে যে কোনো নামেই চুমুক না কেন এই ফলের কিন্তু গুন্ একই থাকে। আতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান না অনেক রজার প্রতিকারে সক্ষম। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রজার ক্ষেত্রে আতা উপকারী।
১. ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা কমানোর জন্য এটা ব্যাপক ফল দায়ী। এটা রক্তের ব্লাডসুগার কমাতে সাহায্য করে। আতা (Cusard apple) ফলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার আছে যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২. আতার ফলের মধ্যে বীজ থাকে। আর এই বীজ ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। বীজের মধ্যে থাকা আন্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ ত্বকের কোষের পুনঃবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি ঠিক হয়।
৩. আতা ফলে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি-৬ থাকে। যা কার্ডিয়াক সমস্যা প্রতিরোধ করে সাথে হোমকিস্টাইন নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. আতা ফল খেলে গর্ভপাতের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। সাথে দুর্বলতা কমিয়ে শারীরিক ব্যাথায় আরাম দেয় আতা (Custard apple)।
৫. হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে আতা ফলের রস খাওয়া উচিত। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি-৬ হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬. আতা ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। তাই ডায়েটারি ফাইবার হিসাবে ব্যবহৃত হয় আতা। অনেকে আতা ফলের গুঁড়ো জলের সাথে খান ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে।
৭. আতা গাছের শুধু ফল নয়, পাতায় ঔষধি গুণ সম্পন্ন। পাতার নির্যাস স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আতা আন্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ন থাকে ফলে ইটা শরীরের কোষে থাকা বিষাক্ত টক্সিক পদার্থ দূর করে।
৮. অনেক সময় দাঁত পরিষ্কার রাখতেও আতা ফলের ব্যবহার করা হয়। আতা (Custard apple) ফলের চামড়া দাঁতের ক্ষয় রোধে সক্ষম। এছাড়াও এটি ব্যবহার করলে মাড়ি আরো মজবুত হয়।