অনেকেই কথায় কথায় বলে থাকেন মাছে ভাতে বাঙালি। অবশ্য কথাটা যে খুব ভুল তা কিন্তু একেবারেই না। কারণ এপার বাংলা হোক বা ওপর বাংলা বাঙালিরা ভাত খেতে বেশ ভালোইবাসে তাছাড়া মাছ মানেই জিভে জল সে আর বলতে! ভারত, বাংলাদেশ থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে রয়েছে বাঙালিরা। আর বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক তাই বাংলার খাবারের স্বাদ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে দারুন নাম কামিয়েছে সর্বত্রই।
কি মশাই বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে শুনুন বাঙালির খাবারেই বিদেশের মাটিতে নামি বিচারকেরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে একেবারে। কি রান্না জানতে ইচ্ছা করছে নিশ্চই! তাহলে বলি মাঝের ঝোলের স্বাদেই মুগ্ধ হয়েছেন বিদেশী রান্নার অনুষ্ঠানের বিচারকেরা। চুলন বাঙালি এক কন্যার মাছের ঝোলের গল্পটা আজ জেনে নেওয়া যাক।
কিশোয়ার চৌধুরী নামের এক বাঙালি বর্তমানে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। কিশোয়ারের জন্ম বাংলাদেশে তবে অস্ট্রেলিয়ায় থাকছেন প্রবাসী বাঙালি হিসাবেই। টিভিতে মাস্টার শেফ (Masterchef) রিয়্যালিটি শো-এর নাম নিশ্চই শুনেছেন। কিশোয়ার অস্ট্রেলিয়ান মাস্টার শেফ-এ অংশ গ্রহণ করেছিলেন। নাম করা সমস্ত বিচারকদের সামনে আরো অনেক প্রতিযোগীদের মাঝে সেরা হয়ে উঠেছেন কিশোয়ার। নেপথ্যে রয়েছে মাছের ঝোল।
অস্ট্রেলিয়ার মাস্টার শেফ অনুষ্ঠানে কিশোয়ার নানান সবজি দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করেছেন। ঠিক যেমনটা বাঙালিদের বাড়িতে হামেশাই হয়ে থাকে। ঝিঙে, আলু বেগুন অল্প কাঁচকলা, আলু আর কালো জীরে দিয়ে জ্যান্ত মাছের ঝোল। দুপুর বেলায় গরম গরম ভাতের সাথে মাছের ঝোল মানেই পাত একেবারে চেটেপুটে পরিষ্কার। এবার সেই ঝোলেই বাজিমাত করেছে কিশোয়ার।
অস্ট্রেলিয়া মাস্টার শেফ ২০২১ এ এই মাছের ঝোলই কিশোয়ারকে সেরার মুকুট পাইয়ে দিয়েছে। তবে কিশোয়ার জেতায় কিন্তু শুধু সে নয়, গোটা বাঙালি জাতিরই বুক গর্বে ফুলে উঠেছে। তাই আপনিও চাইলে বলতেই পারেন বাঙালিদের কাতলা, রুই বা ইলিশ মাছের ঝোল একেবারে বিদেশ মাটিতেও সেরা। তবে কি অস্ট্রেলিয়াতে কিন্তু রুই, কাতলা দিয়ে ঝোল রাঁধেনি কিশোয়ার। সেখানে তো আর রুই,কাতলা, ইলিশ পাওয়া যায় না তাই বাড়ামুন্ডি মাছ দিয়েই ঝোল রান্না করেছিল কিশোয়ার।