স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela) ধারাবাহিকে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন টেলি অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার (Swikriti Majumder)। যদিও এটি তাঁর প্রথম সিরিয়াল নয়। এর আগে একই চ্যানেলের ‘খেলাঘর’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই সময়েও দর্শকদের থেকে একই রকম ভালোবাসা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী
‘মেয়েবেলা’র মৌ হোক বা ‘খেলাঘর’ পূর্ণা, দুই চরিত্রেই দর্শকমহলে সমান জনপ্রিয় স্বীকৃতি। তফাৎ শুধু একটাই। ‘খেলাঘর’ দীর্ঘদিন ধরে চললেও, ‘মেয়েবেলা’ মাত্র ৫ মাসের মাথাতেই বন্ধ হতে চলেছে। দর্শকরা ‘মৌঝর’ জুটিকে অনেক ভালোবাসা দিলেও কয়েক মাসের মধ্যেই পথচলা শেষ হয়ে যাচ্ছে এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial)। শুক্রবার শেষবারের মতো টিভির পর্দায় দেখা যাবে নির্ঝর, মৌ সহ সম্পূর্ণ মিত্র পরিবারকে।
দর্শকদের বিপুল ভালোবাসা সত্ত্বেও এত কম সময়ে সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ রয়েছে স্বীকৃতির। সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, দর্শকরা চেয়েছিলেন ‘মৌঝর’ জুটিকে আরও কাছাকাছি দেখতে। মৌ-ডোডোর প্রেম নিয়ে অনেককিছু দেখানো বাকি ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে সেসব কিছুই দেখানো গেল না।
গত সপ্তাহেই ‘মেয়েবেলা’র অন্তিম পর্বের শ্যুটিং হয়ে গিয়েছে। সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর এখন টুকটাক বিজ্ঞাপনের কাজ করছেন। পাশাপাশি নিজেকেও সময় দিচ্ছেন। একই সাক্ষাৎকারে নিজের পড়াশোনা (Educational Qualification) নিয়েও মুখ খোলেন ‘মেয়েবেলা’র মৌ। চাকরি ছেড়ে কীভাবে তিনি অভিনয় এলেন, সেই কাহিনীও শোনান অভিনেত্রী।
বাংলা টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় নায়িকা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কলেজের চতুর্থ বর্ষে পড়াকালীন ক্যাম্পাসিং থেকে একটি নামী কোম্পানিতে চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর মাঝেই একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন স্বীকৃতি। এরপর ঠিক এক মাস পর স্টার জলসার তরফ থেকে তাঁকে ‘খেলাঘর’ সিরিয়ালের নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
নাচ, মডেলিংয়ের প্রতি বরাবরই আগ্রহ ছিল স্বীকৃতির। স্টার জলসার তরফ থেকে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, পড়াশোনার ডিগ্রিগুলো সারাজীবন তাঁর কাছে থাকবে। দরকার হলে তিনি তা ভবিষ্যতেও ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু অভিনয়ের এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। এরপরেই চাকরি ছেড়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন স্বীকৃতি। আর আজ নিজের তুখোড় অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।