ষ্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) “ধূলোকনা” (Dhulokona)। লীনা গাঙ্গুলির (Leena Ganguly) এই সিরিয়ালে অনেক কষ্টে এক হয়েছিল লালন ফুলঝুরি। একেঅপরকে ভালো বাসলেও চড়ুই তাদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে প্রবেশ করে আর বিয়েও করে লালনকে। এরপর অনেক কান্ড করে চড়ুইকে ভুলে ফুলঝুরির সাথে বিয়ে হয় লালনের। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন সহ্য হয়নি। এবার লালনের আবারও বিয়ে হতে চলেছে ডাক্তারের মেয়ে তিতিরের সাথে। এক সিরিয়ালে দুবার বিয়ে দেখে তৃতীয় বিয়ের আয়োজন শুরু হতেই এবার ক্ষুদ্ধ দর্শকেরা।
আসলে বিয়ের পর লালন-ফুলঝুরি সপরিবারে হানিমুনে গিয়েছিল। সেখানেই সমুদ্রের জলে তলিয়ে গিয়েছে লালন। চন্দ্রেয়ীর ষড়যন্ত্রেই এই কাঁধ হয়। এরপর নিজের কুকর্মের জন্য ধরা পরে জেলে গিয়েছে সে। কিন্তু লালন চলে যাওয়ায় ফুলঝুরির জীবনে শুরু হয় বিরহের পর্ব। কিন্তু সিরিয়ালের তো আর নায়কের মৃত্যু হয় না, তাই ফুলঝুরি থেকে দর্শক সকলেরই বিশ্বাস ছিল লালন ঠিকই বেঁচে ফিরবে। আর হয়েছেও তাই।
সমুদ্রের জলে ভেসে গেলেও টাকা উদ্ধার করেছে ডাক্তারের মেয়ে তিতির। কিন্তু ঘটনাক্রমে স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে সে। অন্যদিকে লালন মারা গিয়েছে ভাবে বিধবার বেশ পড়তে হয়েছে ফুলঝুড়িকে। তিতির লালনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে আর চিকিৎসার পাশাপাশি শুরু হয় জামাই আদর। আর এবার তো দুজনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। অর্থাৎ চড়ুই, ফুলঝুরির পর এবার তৃতীয়বার তিতিরের সাথে হয়তো বিয়ে হবে লালনের।
ঘুরে ফিরে সিরিয়ালে সেই ত্রিকোণ প্রেমের গল্পই ফিরল! ইতিমধ্যেই নতুন একটি প্রোমো রিলিজ করা হয়েছে চ্যানেলের পক্ষ থেকে। এখানে অবশ্য একটা টুইস্ট দেখা যাচ্ছে। কারণ তিতির তার ডাক্তার বাবাকে বলছে, ‘আমি তোমার সন্মান কিছুতেই নষ্ট হতে দেব না বাপি। লালনের স্মৃতিশক্তি ফেরাতে কনের সাজে আমিই স্যাক্রিফাইজ করব!’
সুতরাং, আবারও যে বিয়ের পর্ব দেখা যাবে সেটা একপ্রকার নিশ্চিত দর্শকেরা। নেটিজেনদের একাংশের মতে, ‘সিরিয়ালের নাম পাল্টে বিয়েকনা করে দেওয়া উচিত’। বোঝাই যাচ্ছে কটাক্ষ করেই এই কথা বলেছেন দর্শকেরা। তবে, এই বিয়ে কি সত্যিই স্মৃতিশক্তি ফেরাবে লালনের? আবারও চিনতে পারবে নিজের ফুলঝুড়িকে? এগুলোই হচ্ছে প্রশ্ন। আর এর উত্তর জানার জন্য চোখ রাখতে হবে টিভির পর্দায়।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ালের প্রমো দেখে নেটিজেনদের একাংশ কিছুটা চটেছেন। কারণ তাদের মতে, লেখিকা লীনা গাঙ্গুলি নাকি নায়ক-নায়িকার বিয়ে দেওয়ানোর কোনো সুযোগই নাকি হাত ছাড়া করেন না! এতে অবশ্য লাভই হয়, কিছু দর্শক যেমন দেখতে ভালোবাসেন তেমনি TRP ও বাড়ে।